১ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি

১ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি
১ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি  © টিডিসি ফটো

মাঙ্কিপক্সের কারণে আগামী ১ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের যে বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে সেটি সঠিক নয়। বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি মহল উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি থেকে সবাইকে সতর্ক থাকবে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্স নিয়ে গত কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মাঙ্কিপক্সের কারণে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির স্বাক্ষর যুক্ত করা হয়েছে।

ভুয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘অতদ্বারা সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ১লা জুন থেকে ২৯শে জুন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স সংক্রামক ভাইরাসের জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকিবে। আদেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এপি।’’

এ বিজ্ঞপ্তিতে ভুয়া বলেই নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল আহমেদ। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদ থেকে দেয়া হয়। পরে সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের হাতে আসে। কিন্তু মাঙ্কিপক্সের কারণে কারণে এ ধরনের তথ্য আমরা পাইনি।

আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউতে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের তথ্যটি গুজব

বিজ্ঞপ্তিটির ধরনই সঠিক নয় জানিয়ে অধ্যাপক বেলাল আহমেদ বলেন, যে ফরমেটে ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, সেটি দেখে আমি নিশ্চিত এটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এ ধরনের ভুয়া বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ভুয়া বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এর আগে, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। পরে আক্রান্ত যে ব্যক্তির তথ্য বলা হয়েছে তিনি নিজে এবং বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সেটি ভুয়া বলে জানায়।

মানবদেহের স্মলপক্সের মতোই মাঙ্কিপক্স। ১৯৮০ সালে রোগটি নির্মূল করা হয়েছিল। রোগটি চিকেনপক্স মনে করেও বিভ্রান্ত হওয়ার শঙ্কা আছে। মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গ হলো—জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠব্যথা, নাসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও পরিশ্রান্তবোধ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১টি দেশে ৮০ জন মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে ডব্লিউএইচও জানায়, সন্দেহভাজন আরও ৫০ জনের বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে। সম্প্রতি ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যে এ ভাইরাসে সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল।


সর্বশেষ সংবাদ