স্কুল খোলা নিয়ে বিভ্রান্তিকর শিরোনামের খবর ফেসবুকে
স্কুল খোলা নিয়ে বিভ্রান্তিকর শিরোনামের একটি খবরের লিঙ্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গত সোমবার ডেইলি নিউজ নামের একটি ফেসবুক পেজে ‘এইমাত্র পাওয়াঃ স্কুল খুললেও হচ্ছে না ক্লাস!’ শিরোনামের একটি খবরের লিঙ্ক পোস্ট করা হয়। আরও বেশকিছু পেজ থেকে একই শিরোনামের খবরটি শেয়ার করা হয়। দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে, স্কুল খুলবে ঠিকই কিন্তু কোনো ক্লাস হবে না। প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস চালু না হওয়া প্রসঙ্গের এই সংক্ষেপিত শিরোনামের খবরটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে।
গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘স্কুল খুললেও প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস হচ্ছে না’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি দেখুন। ফেসবুকে শেয়ার করা প্রতিবেদনগুলোর শিরোনামে ‘প্রাক-প্রাথমিকের’ কথাটি বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে সব স্কুলে ক্লাস না হওয়ার অর্থ তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
প্রায় দেড় বছর পর গত রোববার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি জানান, ‘১২ সেপ্টেম্বরই খুলছে স্কুল-কলেজ’। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। ফলে প্রাথমিকেরও আগের পর্যায়ের শিশু শিক্ষার্থীদের কী হবে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের বরাত দিয়ে এসব খবরে জানানো হয়, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলেও প্রাথমিক স্তরের কেজি, নার্সারি ও প্রাক-প্রাথমিকের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস হবে না। আপাতত এসব স্তরের ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘প্লে–নার্সারি–কেজি ও প্রাক্–প্রাথমিকের ক্লাস বন্ধই থাকছে’ শিরোনামে একই খবরটি দেয়। এখানেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের বরাত দিয়েই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এক বছর মেয়াদি প্রাক্–প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। এ ছাড়া ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কিন্ডারগার্টেনগুলোতে প্লে গ্রুপ, নার্সারি ও কেজি নামে আলাদা প্রাক্–প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা আছে।