গোটা ভারতে নয়, পশ্চিমবঙ্গের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম রুমানা
‘রুমানা আক্তার’ নামের এক মুসলিম তরুণী ভারতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫০০ নম্বরে ৪৯৯ পেয়ে প্রথম হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে এবং বেশকিছু ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে। অথচ ওই তরুণী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। ফেসবুক পোস্ট এবং ওয়েবসাইটগুলোতে তরুণীর নাম রুমানা আক্তার বলা হলেও মূলত তাঁর নাম রুমানা সুলতানা। তা ছাড়া এসব পোস্টে ভারতের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে ভুলভাবে ‘শিক্ষামন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৪ জুলাই তারুণ্য ডটকম নামক একটি ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে বলা হয়, ভারতে উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০ নাম্বারে ৪৯৯ পেয়ে প্রথম হলেন রুমানা আক্তার। এ ছাড়া ২৫ জুলাই ডেইলিবিএননিউজ ডটকম নামক একটি ওয়েবসাইটে ‘‘ভারতে উচ্চমাধ্যমিকে ‘৫০০’ নাম্বারে ‘৪৯৯’ পেয়ে প্রথম হলেন ‘রুমানা আক্তার’’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ফল প্রকাশের সময় শিক্ষামন্ত্রী মহুয়া দাস বলেন, এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষায় একজনই সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছে। এবং সে একজন মুসলিম বলেও জানান পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী।’
এর আগে গত ২২ জুলাই ‘দৈনিক শিক্ষা বার্তা’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে একই দাবি সংবলিত পোস্ট করা হয়। দৈনিক শিক্ষাবার্তার ওয়েবসাইটেও একই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত ২২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভারতের উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেদিন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের খবরে বলা হয়, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেলেন মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির ছাত্রী। কান্দি থানার শিবরামবাটি এলাকার বাসিন্দা রুমানা সুলতানার সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবার।’
এ ছাড়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজএনসিআর ডটকমের প্রতিবেদনে রুমানা সুলতানার ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বরপত্রের ছবি সংযুক্ত করা হয়। তাতে তাঁর নাম রুমানা সুলতানা লেখা দেখা যায়। ২০১৯ সালে মাধ্যমিকে ৬৮৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে পঞ্চম হয়েছিলেন রুমানা।