‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ ফেসবুক আইডি-পেজ নিয়ে যা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
‘নতুন কারিকুলাম ফিরে যাচ্ছে আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে, ২০২৪ সাল থেকে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) নেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা’— এমন একটি তথ্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়। তথ্যটির সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয় ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’।
যদিও পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, এ তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামে ফেসবুকের এক গ্রুপ থেকে ‘শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে’ এমন একটি তথ্য প্রচার হতে দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামে একাধিক পেজ ও গ্রুপ খুঁজে পাওয়া যায়। এসব পেজ ও গ্রুপে বাংলাদেশ সরকারের অফিশিয়াল মনোগ্রাম, কোনো কোনোটিতে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের মনোগ্রাম ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
এই নামের ফেসবুকের একটি গ্রুপ ঘুরে দেখা যায়, সেগুলোতে যথাক্রমে ২ লাখ ২৩ হাজার। একই নামের একটি পেজও খুঁজে পাওয়া যায়। এটির ফলোয়ার ২৩ হাজার।
জানা যায়, দেশে মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ড আছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ। এই ১১টি বোর্ডের মধ্যে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে বাংলাদেশে টিকটক নিষিদ্ধ করা হচ্ছে তথ্যটি ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ সূত্রে ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) একটি পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড’ নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কোনো দপ্তর সংস্থার ফেসবুক আইডি বা পেজ নেই।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের “বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড” নামে কোনো পেজ নেই। এই নামের পেজগুলোর বিরুদ্ধে আগেও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আবারও আমরা এসব পেজ ও গ্রুপের তালিকা করে বিটিসিএলকে বলব বন্ধ করে দিতে।’