এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে গণমাধ্যমে ছড়ানো তথ্য বিভ্রান্তিকর
চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে না পারায় পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় বিকল্প মূল্যায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কমিটির বরাত দিয়ে এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিকল্প মূল্যায়নে গঠিত কমিটির আহবায়ক ও আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আমরা এখনো পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে আশাবাদী। তবে যদি শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা নিতে না পারি তাহলে কীভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে সেটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো কিছুই চূড়ান্ত করা হয়নি। এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেটি বিভ্রান্তিকর।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ও সোমবার দেশের বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত খবরে বলা, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ৫০ শতাংশ জেএসসি ও বাকি ৫০ শতাংশ অ্যাসাইনমেন্ট/ ২৫ ভাগ অ্যাসাইনমেন্ট ও ২৫ ভাগ একাডেমিক রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে দেয়া হবে। আর এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি থেকে ৫০ শতাংশ, জেএসসি থেকে ২৫ শতাংশ আর ২৫ শতাংশ নম্বর দেয়া হবে অ্যাসাইনমেন্ট থেকে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বিষয়টি আমরাও জেনেছি৷ যারা এ ধরনের সংবাদ প্রচার করেছেন তারা কিসের ভিত্তিতে করেছে সেটি আমার জানা নেই। তবে মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। এ ধরনের সংবাদ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব। তবে যদি পরীক্ষা না নেয়া যায় তাহলে কোন কোন পদ্ধতিতে বিকল্প মূল্যায়ন করা যায় সেটি ঠিক করা হবে। আমরা একটি খসড়া তৈরি করে সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। মন্ত্রণালয় সেটি যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করবে।
প্রসঙ্গত, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন ঠিক করতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরা রয়েছেন।