এসএসসি-এইচএসসি অনলাইনে নেওয়ার বিষয়টি চিন্তারই: নেহাল আহমেদ
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সবশেষ দফায় আগামী ৩০ জুন বাড়ানো হয়েছে এই ছুটি। করোনার কারণে গতবছরের এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল অটোপাস দিয়ে। তবে এবার এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষায় অটোপাস দেওয়া হবে না বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরইমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির একটি ঘোষণা এ দুই পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে গুঞ্জন বাড়িয়ে দিয়েছে। এসএসসি-এইচএসসি নিয়ে বিকল্প চিন্তার কথা বলেছেন তিনি। অনেকে ভাবছেন, অনলাইনে এই দুই পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। যদিও এভাবে পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া সম্ভব তা ভাবতে পারছেন না তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা সশরীরে না নিয়ে বিকল্প পদ্ধতিতে নেয়া যায় কীভাবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সঙ্গে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অনলাইনে শ্রেণিভিত্তিক ও পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনে গঠিত সুপারিশ কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সেখানে বিভাগ বা অনুষদভিত্তিক পরীক্ষা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে ৬০-৭০ জনও পরীক্ষার্থী থাকে। তাদের পরীক্ষা নেওয়া সহজ।’
কিন্তু ২০-২২ লাখ পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে তত সহজ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হাওর-চরাঞ্চলেও আছে। ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট নিশ্চিত করাটা বড় চ্যালেঞ্জ। কম্পিউটার বা ল্যাপটপও সবার নেই। এ জন্য এত বড় পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার বিষয়টি চিন্তারই।’
সূত্র জানায়, চলতি বছর এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে শিক্ষ মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে এসএসসি এবং ৮৪ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার কথা রয়েছে। তবেভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতেই পারছে না সরকার। এ অবস্থায় সশরীরে পরীক্ষা না নিয়ে বিকল্প পদ্ধতিতে এ দুই পরীক্ষার নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি। ফলে এ বছর এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সশরীরে নেয়া যাবে কি-না, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। সশরীরে পরীক্ষার বিকল্প আছে কি না, সেটা ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি।