এইচএসসি পরীক্ষা: আরও সময় নিতে চায় শিক্ষাবোর্ড
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের সব ধরণের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে এবছরের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। কবে নাগাদ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে সেসম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও সরকার বলছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে পরীক্ষা নেয়ার মত সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় কখন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। নতুন সূচি প্রকাশের অন্তত ১৫ দিন পর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এদিকে, এ পরীক্ষা নিতে আরও সময় নিতে চায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। কমিটি বলছে, সবার আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। তাই করোনা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
তবে শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের প্রায় সব কিছুই খোলা রয়েছে। শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি ভাবতে পারে সরকার।
সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। আর কত দিন অপেক্ষা করা যায়? তবে এ জন্য কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানতে যা যা করা দরকার, তা মেনে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এছাড়া আর কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই। কারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবার আগে।
জানা যায়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এ বছর এই সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণই সম্ভব হয়নি। ফলে এমনতিইে শিক্ষার্থীদের প্রায় পাঁচ মাসের সেশনজটে পড়তে হবে। এরপর যদি এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণে আরো দেরি হয়, তাহলে উচ্চশিক্ষায় সেশনজট দীর্ঘ হবে।