শিক্ষাক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা সাধারণ শিক্ষাকে পুরোপুরি ট্রান্সফর্ম করার জন্য চেষ্টা করছি। আমরা সবাই অনুভব করছি, আমাদের একটা কারিকুলাম আছে, সেটাকে ক্রমাগত আপডেট করতে হবে। কারণ বিশ্ব খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। কারিকুলামে (শিক্ষাক্রমে) ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করছি।
আজ শনিবার সিআরআই এবং ইয়ং বাংলার আয়োজনে লেটস টক অন ইয়ুথ এডোকেশন এন্ড স্কিলস শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
২০২১ সালে নতুন কারিকুলামের পাঠ্যপুস্তক বিদ্যালয়গুলোতে দেওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে ২০২২ সালে নিয়ে যেতে হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের জন্য বাজার অর্থনীতির দিকে নজর রাখতে হবে। কারিকুলাম প্রণয়নের পাশাপাশি দক্ষ শিক্ষক তৈরিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এগিয়ে যাবে।
দীপু মনি বলেন, সামনে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য বিগ ডেটা, ব্লক চেইন- এগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রযুক্তির টোটাল ট্রান্সফরমেশন হবে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারাটা আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জ। আমাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো কারিগরি শিক্ষা। ২০১০ সালে প্রণয়ন করা ন্যাশনাল পারসপেকটিভ প্ল্যান আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি শিক্ষা আইনও চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় স্বপ্ন ২০৪১ সালের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট এসডিজি বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মানসম্মত ও দক্ষতা নির্ভর কারিগরি শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার কারিগরি শিক্ষাকে মেইনস্ট্রিমিং করার লক্ষ্যে নবম ও দশম শ্রেণীতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে ট্রেড কোর্স বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।