১১ মে ২০১৯, ১৭:৫২

একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরু, আবেদন করবেন যেভাবে

  © ফাইল ফটো

শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হয়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীরা অনলাইন এবং এসএমএসে আবেদন করতে পারবেন। তবে রবিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, ২৩ মে পর্যন্ত পর্যন্ত অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ চলবে। আর জুন মাসের মধ্যে ভর্তির কাজ শেষ করে আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির বিধান রাখা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন। আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে উর্ত্তীণরা একাদশে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। অনলাইনের পাশাপাশি টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএস করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করা যাবে।

আগামী ১০ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১১ থেকে ১৮ জুন সিলেকশন নিশ্চিত (যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন, তা এসএমএসে নিশ্চিত করা) করতে হবে। নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯ থেকে ২০ জুন এবং তৃতীয় পর্যায় গ্রহণ করা হবে ২৪ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল ২১ জুন এবং তৃতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ে তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা ২২ ও ২৩ জুন সিলেকশন নিশ্চিত এবং তৃতীয় পর্যায়ে তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ২৬ জুন সিলেকশন নিশ্চিত করবেন। নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। আগামী ২৭ থেকে ৩০ জুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি শেষে ১ জুলাই ক্লাস শুরু হবে।

অনলাইনে ১৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে। প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিয়ে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

অনলাইনে যেভাবে আবেদন করবেন: www.xiclassadmission.gov.bd এ ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এর আগে শিক্ষার্থীকে তার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সাল ব্যবহার করে এসএমএস করে টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশ এর মাধ্যমে ১৫০ টাকা ফি জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে টেলিটক সিম থেকে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে CAD স্পেস WEB স্পেস পরীক্ষা পাসের Board এর নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস পরীক্ষার রোল স্পেস পরীক্ষা পাসের বর্ষ লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। ফিরতি এসএমএস এ আবেদনকারীর নাম ও আবেদন ফি বাবদ ১৫০ কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন কোড দেওয়া হবে। ফি দিতে সম্মত থাকলে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে CAD স্পেস YES স্পেস PIN স্পেস CONTACT NUMBER (বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত মোবাইল নম্বর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফি সঠিকভাবে জমা হলে প্রার্থীর মোবাইলে নিশ্চিতকরণের একটি Transaction IDmn SMS যাবে।

টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশ মাধ্যমে নির্ধারিত আবেদন ফি ১৫০ টাকা জমা দেওয়ার পর আবেদনকারীকে নির্ধারিত website- এ www.xiclassadmission.gov.bd Apply Online -এ ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রদর্শিত তথ্য ছকে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর, বোর্ড ও পাসের সন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সঠিকভাবে এন্ট্রি করতে হবে।

এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হলে আবেদনকারী একটি ফরম পাবে, সেটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। একইভাবে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে প্রার্থীকে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০ টাকা আবার ১০টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০ টাকা চার্জ করবে।

এসএমএসে আবেদন: এসএমএস এর মাধ্যমে আবেদন শুধু টেলিটক প্রি-পেইড সংযোগ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। মোবাইল এর মেসেজ অপশনে গিয়ে এভাবে টাইপ করতে হবে- CAD ভর্তিচ্ছু কলেজ/মাদ্রাসার EIIN ভর্তিচ্ছু গ্রুপের নামের প্রথম দুই অক্ষর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর, এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের সাল, এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ভর্তিচ্ছু শিফটের নাম ভার্সন/কোটার নাম (যদি থাকে)। এরপর মেসেজটি send করতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।