০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৬

যশোর শিক্ষাবোর্ডে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে ৩৮ হাজার ৩৪৬ পরীক্ষার্থী

যশোর শিক্ষা বোর্ড  © ফাইল ফটো

আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা। যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১০ জেলার ৬২টি কেন্দ্রে মোট ৩৮ হাজার ৩৪৬ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী রয়েছে যশোর জেলায়, যেখানে ৭ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যশোর জেলার ৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় জিলা স্কুলে ১ হাজার ৯৪৮, কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৫০, মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৭০, নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৫১, বাঘারপাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৫৪, ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৯০, শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৪৬ এবং চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৪৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

খুলনা জেলার ১২টি কেন্দ্রে মোট ৫ হাজার ৯১২ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে খুলনা জিলা স্কুলে ৮৮৯, খুলনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৩৭, নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮৬৫, কয়রা মদিনাবাদ সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৪৪, ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৪৯, পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬২৯, বটিয়াঘাটা থানা হেড কোয়ার্টার পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৮৭, ইখড়ি কাটেংগা ফজলুল হক মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৭৪, সরজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৩২, রি ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩৬৩, চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৭৫ এবং সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২২৮ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

বাগেরহাটের ৯টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৫২০ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৭৬, মূলঘর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪০১, সরকারি ওয়াজেদ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৪৭, সরকারি করোনেশন সোবহান পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮৫, চিতলমারী এসএম মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৭১, শ্রীতফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৬৮, সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৩৩, রায়েন্দা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯ এবং মোড়েলগঞ্জ এ.সি. লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৪০ পরীক্ষার্থী থাকবে।

সাতক্ষীরার ৭টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ২৯১ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৯৭, শহীদ আরী আহম্মদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৬১, কলারোয়া সরকারি জি কে এম কে পাইলট হাইস্কুলে ৫৭৯, আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫১, দেবহাটা সরকারি বিপিন বিহারী মেমোরিয়াল পাবলিক ইন্সটিটিউটে ২৯১, কালিগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬২৩ এবং নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৮৯ পরীক্ষার্থী থাকবে।

কুষ্টিয়ার ৬টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৭৬৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে ১ হাজার ৪২৫, খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৩৪, কুমারখালী মথুরানাথ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৯৬, ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৮১, মিরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬১৫ এবং দৌলতপুর সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৯ পরীক্ষার্থী থাকবে। চুয়াডাঙ্গার ৪ কেন্দ্রে অংশ নেবে ২ হাজার ৫৯৯ পরীক্ষার্থী। ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৮১, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৮৮৮ এবং দামড়হুদা সরকারি পাইলট হাইস্কুলে ৫৪৫ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

মেহেরপুরের ৩ কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৪৭ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৩০, গাংনী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯৬৬ এবং মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৫১ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

ঝিনাইদহের ৬ কেন্দ্রে অংশ নেবে ৪ হাজার ২৯২ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১০, হরিণাকুন্ডু সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৫৪, সরকারি নলডাঙ্গা ভুষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৯৮, কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪২৩, মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে ৭৮৮ এবং শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮১৯ পরীক্ষার্থী থাকবে।

নড়াইলের ৩ কেন্দ্রে অংশ নেবে ১ হাজার ৯১৯ পরীক্ষার্থী। নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৩৯, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৬৪ এবং কালিয়া সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫১৬ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

মাগুরার ৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে ২ হাজার ১৩৯ পরীক্ষার্থী। মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯১২, শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৩৬, মোহাম্মদপুর সরকারি আরএসকে এইচ ইন্সটিটিউশনে ৪৪০ এবং আড়পাড়া সরকারি আইডিয়াল হাইস্কুলে ৩৫১ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে।

এ বিষয়ে বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, “জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় যশোর বোর্ডের অধীনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।”