এসএসসির ফলোন্নয়ন ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাসসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা বোর্ডের
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অনিয়মিত ও জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। নির্দেশনা অনুযায়ী এক থেকে চার বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের নিজ-নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবর সাদা কাগজে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশন এর মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় বিষয়সমূহে এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালের পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীগণ ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয়/বিষয়সমূহে অংশগ্রহণের জন্য নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবর সাদা কাগজে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
অনিয়মিত পরীক্ষার্থী
এতে বলা হয়, ২০২২-২০২৩ এবং ২০২০-২০২৪ সালের রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থী যারা ২০২৪ এবং ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি, স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তাদেরকে কোন অবস্থাতেই নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করা যাবে না। তারা ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১-২০২২ সালের রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থীগণ যাদের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ শেষ অথচ চতুর্থ বিষয় বাদে এখনো এক বিষয়ে অকৃতকার্য আছে, সে সকল শিক্ষার্থী বিশেষ বিবেচনায় রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ কেবলমাত্র এক বছরের জন্য নবায়ন করে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অকৃতকার্য বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তাদেরকে ২০২৫ সালের সিলেবাস (পুরাতন) অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, উপরের বর্ণিত পরীক্ষার্থীদের পূর্বে উত্তীর্ণ বিষয়/বিষয়সমূহের প্রাপ্ত জিপি সংরক্ষিত থাকবে। ২০২৬ সালের পরীক্ষায় তাদের অংশগ্রহণকৃত বিষয়ের জিপি পূর্বে উত্তীর্ণ বিষয় বিষয়সমূহের সংরক্ষিত জিপি এর সাথে যোগ করে তাদের জিপিএ নির্ধারণ করা হবে।
জিপিএ উন্নয়নের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেবল ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সকল বিষয়ে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং জিপিএ ৫.০০ এর কম পেয়েছে এমন পরীক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকলে ২০২৬ সালের পরীক্ষায় জিপিএ উন্নয়নের জন্য অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং তাদেরকে সকল বিষয়ে ২০২৫ সালের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে (পুরাতন) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ২০২৬ সালের পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলে জিপিএ উন্নয়ন হলে তা গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় পূর্বের জিপিএ বহাল থাকবে।
পাঠ্যসূচির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে প্রণীত প্রশ্নপত্রে নিয়মিত পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। অন্যদিকে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে প্রণীত প্রশ্নপত্রে অনিয়মিত ও জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
এতে আরও বলা হয়, সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার এডুকেশন বিষয়সমূহ এনসিটিবি এ নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে এবং ব্যবহারিক ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের হাতে লেখা মূল নম্বর ফর্দ মাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।
ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ফি পরিশোধ করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।