অবরুদ্ধ ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা, ‘অটোপাস’ দাবি
অনুষ্ঠিত হওয়া এইচএসসি’র সাতটি বিষয়ে অটোপাসের দাবিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। বোর্ড কর্মকর্তা বলছেন, ‘অটোপাস’-এর দাবিতে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘যারা এইচএসসি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে পারেননি তারা অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষাগুলোতেও অটোপাস দাবি করেছেন। আমার রুমসহ বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন। আমরা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছি। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। দেখা যাক কি হয়।’
জানা গেছে, রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার পর ‘এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪’-এর ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা ১টার দিকে মিছিলটি বোর্ডের ফটকের সামনে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে পাস করা ও অকৃতকার্য শিক্ষার্থী আছেন।
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে পড়েন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, বোর্ডের ভেতরে তাদের ওপর হামলা হয়। এই হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন। তারা এই হামলার বিচার চান।
হামলায় আহতরা হলেন- সরকারি শাহবাজপুর কলেজের মো. সাগর (১৭), নারায়ণগঞ্জ কলেজের শাহরিয়ার (১৮), কিশোরগঞ্জের ওয়ালি নেওয়াজ খান কলেজের ওয়াহিদ (১৯), বাঘাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফাহমিদা হোসেন (১৭) ও গোপালগঞ্জের শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের আশুতোষ (১৮)।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের নানা অসঙ্গতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে বোর্ডের এসেছিলেন। তবে, বোর্ডের কর্মকর্তার কর্মচারীরা তাদের উপর হামলা করেন। যদিও বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, হুড়হুড়িতে কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বোর্ডের নানা সম্পদ বিনষ্টের চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বাতিল ৬টি পরীক্ষা যে পদ্ধতিতে ম্যাপিং করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে তাতে চরম বৈষম্য তৈরি হয়েছে। সিলেট মাদ্রাসা বোর্ডের মাত্র ৩টি পরীক্ষা হয়েছে, কিন্তু তাদের সাবজেক্ট ম্যাপিং করায় রেজাল্ট ভালো হয়েছে। অথচ আমরা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফেল করেছি। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।
চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনে আসা শাফিন মাহমুদ জানান, এবার যে ফলাফলটা হয়েছে এটা চরম বৈষম্যের। এবার যত বেশি পরীক্ষা হয়েছে সে বোর্ডের শিক্ষার্থীরা তত বেশি পরীক্ষা দিয়েছে, তারা তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো বোর্ডে ৬ পরীক্ষা দিয়েছে কেউ ৩টি পরীক্ষা দিয়েছে। অথচ রেজাল্টের ক্ষেত্রে কম পরীক্ষা দেওয়া বোর্ডের রেজাল্ট ভালো হয়েছে। এই বৈষম্য আমরা মানি না। অবিলম্বে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে নতুন পদ্ধতিতে রেজাল্ট প্রকাশের দাবি জানান তিনি।