এইচএসসির ফল কতদিনের মধ্যে—জানাল বোর্ড
শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৪০ দিনের এ পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করে প্রকাশের রূপরেখা ঠিক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের বিশেষ সভায় প্রাথমিকভাবে এ রূপরেখা ঠিক করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, যে বিষয়ের পরীক্ষাগুলো হয়েছে কিন্তু ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়নি, ওই বিষয়গুলোর ব্যবহারিকের নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে হতে পারে। আসলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিস্টেম এনালিস্টদের প্রস্তাবনা বা তাতে অনুমোদন পাওয়ার আগে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছুই বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকেরা।
তারা বলছেন, ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফল সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে দেয়া হয়েছিল। ২০২১ সালেও তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে অন্যান্য বিষয়গুলোর ফল সাবজেক্ট ম্যাপিং করে দেয়া হয়েছিল। তাই আমাদের সামনে দুইটা উদাহরণ রয়েছে। সে অভিজ্ঞতার আলোকে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করতে সব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের বলা হয়েছে। আমরা তা প্রস্তুত করে জমা দেব।
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার বলেন, যে প্রক্রিয়ায় ফল প্রস্তুত করা হোক না কেন, পরীক্ষার্থীরা যেন সর্বোচ্চ সুবিধা পায় সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোনো পরীক্ষার্থীর যদি এসএসসিতে নম্বর খারাপ থাকে, তবে কীভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং হবে এ বিষয়ে অধ্যাপক আবুল বাশার জানান, এসএসসিতে খারাপ থাকলে জেএসসির ফল বিবেচনা করা হবে। জেএসসিতে খারাপ হলে যে সাত বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে সেগুলোতে কেমন ফল করেছে, সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সর্বোপরি যেখানেই শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ বেনিফিট দেওয়া যায়, আমরা সেটিই দেবো।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, যে পরীক্ষাগুলো হয়েছে সেগুলোর নম্বর এবং যে পরীক্ষাগুলো হয়নি সেগুলো সাবজেক্ট ম্যাপিং বা কোন উপায়ে ফল প্রকাশ করা যায় সে বিষয়ে খসড়া প্রস্তাবনা পাঠাতে বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিস্টেম অ্যানালিস্টদের বলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে খসড়া প্রস্তাবনা পেলে আমরা তা যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয় পাঠাবো। মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর ফল প্রকাশ করা হবে।