এসএসসির খাতা দেখায় অবহেলা, শাস্তির আওতায় আসছেন পরীক্ষকরা
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার খাতা দেখায় অবহেলা করা শিক্ষকদের শাস্তির আওতায় আনতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নেওয়া হবে।
জানা গেছে, এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জ করেন। খাতা চ্যালেঞ্জকৃতদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৬২ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। কেবল ফেল থেকেই পাস করেছেন দুই হাজার ২১২ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৮১১ জন। এমনকি প্রথমে ফেল করা ৬ জন পরবর্তীতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হওয়ায় নড়েচড়ে বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, চলতি বছর পুনর্নিরীক্ষণে ফল পরিবর্তনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সব বোর্ড থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তথ্য বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। এটি শেষ হলে কারণ এবং দোষীদের চিহ্নিত করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ফল পরিবর্তনের সংখ্যার সঙ্গে করোনার আগের বছরগুলোর পুনর্নিরীক্ষার ফলের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হবে। যদি অস্বাভাবিক কিছু হয়, তাহলে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস জানিয়েছে, খাতা মূল্যায়নে পরীক্ষকের গাফিলতির বিষয়টি বের করতে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়।
এগুলো হলো— উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে ওঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এই চারটির মধ্যে প্রথমটি বাদে বাকি তিনটি বিষয়ে কেউ ভুল করলে তাকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, চিহ্নিত পরীক্ষকদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। অপরাধের মাত্রা বেশি হলে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে বোর্ড সুপারিশ করে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল বাশার বলেন, খাতা মূল্যায়নে যাদের অবহেলা পাওয়া যাবে তাদের বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে। যার অপরাধ যেমন তিনি তেমন শাস্তি পাবেন। অপরাধের মাত্রা বেশি হলে বেতন-ভাতা বন্ধের সুপারিশ করা হয়ে থাকে।