ইটিআইএফ পূরণে গুরুতর অপরাধ করছেন শিক্ষকেরা, সতর্ক করল বোর্ড
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ কর্মরত শিক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপনীয় কাজ সম্পাদনে ইটিআইএফ পূরণ নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। তবে অনেকে মাস্টার ট্রেইনার না হওয়া সত্ত্বেও এর কলাম এন্ট্রি করেছেন, যা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য।
এ ধরনের অপরাধ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে শিক্ষকদের। সোমবার (১৯ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা জারি করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এতে বলা হয়েছে, প্রধান পরীক্ষক হওয়ার জন্য অনেক শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার না হয়েও ইটিআইএফ ডাটায় মাস্টার ট্রেইনারের কলাম এন্ট্রি করেছেন। এটি গর্হিত অপরাধ। যারা মাস্টার ট্রেইনার নন, তাদের অনতিবিলম্বে মাস্টার ট্রেইনার কলাম সংশোধন করতে বলা হয়েছে। নাহলে প্রতারণামূলক তথ্যের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে সত্যায়নকারীর দায়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান অভিযুক্ত হবেন উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানই শিক্ষকের তথ্য অনুমোদনকারী। অনেক শিক্ষক ব্যক্তিগত রেজাল্ট তথা এসএসসি, এইচএসসি, বিএ, বিএসসি, অনার্স, মাস্টার্স, বিএড-এমএড, পিএইচডি পরীক্ষায় প্রাপ্ত বিভাগ/শ্রেণি ইটিআইএফের নির্দিষ্ট কলামে এন্ট্রি না করে ফাঁকা রাখছেন।
অথচ প্রধান শিক্ষক, পরীক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত রেজাল্টের সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট রয়েছে। এ জন্য অবিলম্বে কলামে প্রাপ্ত বিভাগ/শ্রেণি এন্ট্রি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, অনেকে বর্তমান স্কুল/কলেজে যোগদানের তারিখ দেন। এ কারণে তার প্রকৃত অভিজ্ঞতার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। তথ্য গোপন বা অসত্য তথ্য সংযোজন করলে দায় প্রতিষ্ঠান প্রধানের বহন করতে হবে। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন বা অবসরে গেছেন তালিকায় এমন শিক্ষক থাকলে তা অবশ্যই ডিলিট করতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে।