এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ হয়নি
গত ৬ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নিয়ম অনুযায়ী, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পাবলিক এই দুই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গত বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা ফল প্রকাশের কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের আগে ১১টি শিক্ষাবোর্ড থেকে ফল প্রস্তুত করে তা প্রকাশ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় নির্ধারণ করে দেবেন ফল প্রকাশ করা হবে সেদিন। তবে ফল প্রকাশের সব প্রক্রিয়া ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করে আসছে শিক্ষাবোর্ডগুলো ।
এদিকে, সম্প্রতি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে আগামূী ১৩ ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশ করা হবে বলে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে বলা হয়, “এইচএসসি রেজাল্ট প্রকাশিত হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার দুপুর ১২টায়।”
তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্যটি সঠিক নয় বলে জানিয়েন। তিনি আজ রবিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা এটা দিয়েছেন তারা হয়তো ৬০ দিন হিসেব করে সেটা দিয়েছেন। কেননা পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের একটি নিয়ম রয়েছে। তবে তথ্যটি সঠিত নয়।
জানা গেছে, ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ছিল ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ ও ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০ জন। ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী ১ হাজার ৫২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ৯৪ হাজার ৭৬৩। এর মধ্যে ছাত্র ৫১ হাজার ৬৯৫ ও ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৮ জন। ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী ৪৪৮টি কেন্দ্রে অংশ নেয়।
আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় মোট প্রার্থী ছিল এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৮৮ হাজার ৯১৮ ও ছাত্রী ৩৪ হাজার ১৩ জন। ১ হাজার ৮৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৭৩টি কেন্দ্রে অংশ নেয় পরীক্ষার্থীরা।