রাজশাহী বোর্ডের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সচিবের কক্ষে ঢুকে মারধরের চেষ্টা ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। অভিযুক্ত এ দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হতে পারে। সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক মো. ফয়সাল তারেক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

দুই কর্মকর্তা হলেন- রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মঞ্জুর রহমান খান  ও উপসচিব (ক্রীড়া অফিসার) এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হোসেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী একরামুল হক বলেন, ওই দুই আসামিকে আদালত থেকে জামিন নিতে হবে। আর তারা যেদিন জামিনের জন্য আদালতে উপস্থিত হবেন, সেদিনই শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে। সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের কাছে আবেদন করা হবে।

আরও পড়ুন: এসএসসিতে এবার পাশের হার সবচেয়ে বেশি— তথ্যটি ভুয়া

এর আগে ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিবের কক্ষে ঢুকে তাকে মারধরের চেষ্টা ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বাদী হয়ে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ওই দুই কর্মকর্তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়। আদালতের বিচারক শঙ্কর কুমার বিশ্বাস গত বছরের ৩ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রাজশাহী অঞ্চলের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্ত করেন রাজশাহী পিবিআইয়ের পরিদর্শক আব্দুল মান্নান। গত ১৭ অক্টোবর পিবিআই পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি মঞ্জুর রহমান খান ও ওয়ালিদ হোসেনকে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়নি। তাই পুলিশ প্রতিবেদনে ঘটনাকে আড়াল করার অভিযোগে বাদী আদালতে নারাজি দাখিল করেন।

বাদীর আইনজীবী পুলিশি তদন্তের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়ে অভিযোগটি সরাসরি আমলে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে এবং বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।