শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিও দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ
নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক ও পরিচালকদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রোববার মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশে বলা হয়েছে, যোগ্য আবেদনগুলো অনুমোদন করে আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রোগ্রামারের আইডিতে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। যা ২২ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। আর যেসব আবেদন অনুমোদন করার যোগ্য নয়, সেগুলো ২১ মের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে বাতিল করতে বলে দেওয়া হয়েছে।
নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া দুই হাজার ৬১৫ প্রতিষ্ঠানে প্যাটার্নভুক্ত প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। কিন্তু ২ থেকে ৫ মে পর্যন্ত মাত্র চার দিন সময় দেওয়ায় দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষক-কর্মচারীই আবেদন করতে পারেননি। আবার সার্ভার-সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় অনেক শিক্ষক-কর্মচারী কাগজপত্র নিয়ে বসে বার বার চেষ্টা করেও অনলাইনে আবেদন জমা দিতে পারেননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চেয়েছিল ঈদুল ফিতরের আগেই সব শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করতে। যেন সবাই এই ঈদেই বেতন-ভাতা পান। তবে মাঠ পর্যায়ের দুর্নীতিপরায়ণ একশ্রেণির কর্মকর্তার কারণে সেই প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। এসব কারণে ঈদের আগে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাত্র ১২১ শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তি দেওয়া গেছে। আর স্কুল-কলেজের মাত্র ৫ হাজার ৯৪ শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করা গেছে। অথচ ঈদের আগে সারাদেশের নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া দুই হাজার ৬১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর এই সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল। এই অবস্থায় রোববার মাউশি থেকে আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হলো। তবে বাকি শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদের আগে আর বেতন বোনাস পাওয়ার সুযোগ নেই।