০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:২৫

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও জবি উপাচার্যসহ ছয়জনকে আইনি নোটিশ

জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত না গাওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানসহ ছয়জনকে আইনি নোটিশ পাঠনো হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডাক ও রেজিস্ট্রি যোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এই নোটিশ পাঠান। এই নোটিশের বিষয়ে অবহিত করার জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

নোটিশ পাওয়া অন্যরা হলেন- ঢাকা-৬ আসনে জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. এ কে এম আমিনুল হক, কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. ইফফাত আরা ও প্রভাষক ডা. শ্বাশত ধর সম্রাট।

নোটিশে বলা হয়, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে গত ২৮ আগস্ট বিকেল ৩টায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আপনি জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি, অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বিশেষ অতিথি, কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. এ কে এম আমিনুল হক, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. ইফফাত আরা বক্তব্য দেন। প্রভাষক ডা. শ্বাশত ধর সম্রাট অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। আমি (আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ) জাতীয় সংগীত পাঠ করার জন্য কিছু বলতে চাইলে বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। জাতীয় শোক দিবস পালনের সময় আপনারা জাতীয় সংগীত পরিবেশন না করে আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমূল্যায়ন করে উক্ত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন এবং আপনারা আপনাদের পদে থাকতে পারেন না।

নোটিশে আরো বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ২৯ আগস্ট বিকেল ৪টার পরে জাতির পিতার স্মরণে শোক দিবস পালন করা হয়েছে। সেখানে মাননীয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। সেখানেও জাতীয় সংগীন পরিবেশন করে জাতির পিতার প্রতি সম্মান প্রর্দশন করা হয়। কিন্তু আপনারা জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন।

নোটিশে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেধে দিয়ে এই আইনজীবী আরো বলেন, এ বিষয়ে আপনাদের কোনো আপত্তি, বক্তব্য বা উত্তর থাকলে এই নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলা হচ্ছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।