৩০ জানুয়ারির অধিবেশনেই ৩৫ নিয়ে আলোচনা
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার আন্তরিক। সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই এটা নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী ৩০ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় এই সংসদ অধিবেশন বসছে। খবর-বাসসের।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রশাসনে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ পদ শূন্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা অধিকাংশ শূন্য পদে নিয়োগ দিতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মেনোফেস্টতে পরবর্তী পাচঁ বছরে দেশের জিডিপি ১০ শতাংশ এবং এ সময়ের মধ্যে ১ কোটি ২৮ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে বলেন, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে একশত অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, এ সকল অর্থনৈতিক জোন ও মেগা প্রকল্পে বিপুলসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সে কারণেই সরকারের মেয়াদের মধ্যে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্র অতিক্রম করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল সেক্টরে সুশাসন নিশ্চিত করা হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, ফলে দুর্নীতি করার কোন সুয়োগ নেই। এই বার্তা প্রশাসনের তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমরা সরকারি প্রশাসনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়। সেই সময় অবসরের বয়সসীমা ছিল ৫৭ বছর। প্রায় ২১ বছর পর অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করে সরকার। সেই থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবি তোলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।