ইভ্যালি সার্ভারের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন রাসেল
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সার্ভারের প্রবেশ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও মার্চেন্টদের অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি আটকে রয়েছে। সার্ভারের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন খোদ প্রতিষ্ঠানের সিইও মোহাম্মদ রাসেল। আপাতদৃষ্টিতে এই পাসওয়ার্ডটি পুনরুদ্ধার করারও কোনো উপায় নেই।
শুধু ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলই পাসওয়ার্ডটি জানতেন। এই সার্ভারটি এমন যে, এটুআই ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগও পাসওয়ার্ড বের করতে বা সার্ভারটিতে ঢুকতে পারছে না। সার্ভারের পাসওয়ার্ডের বিষয়ে রাসেল জানিয়েছেন তিনি তার টেবিলে থাকা একটি ডায়েরিতে পাসওয়ার্ড লিখেছিলেন। কিন্তু সেটি এখন কোথায় আছে তাও তিনি জানেন না।
চটকদার বিজ্ঞাপন এবং নানান প্রলোভন দিয়ে কম সময়ে আলোচনায় এসেছিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। পণ্য কিনতে এক সময় হুমড়ি খেয়ে পড়তেন লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু বেশি দিন স্থায়ী হয়নি সেই কার্যক্রম। লেনদেনে ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয় সরকার।
আরও পড়ুন: আপাতত এক টাকাও দেওয়ার ক্ষমতা নেই: ইভ্যালি
তবে তার মধ্যেই গ্রাহকদের কাছ থেকে ৭ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। ব্যাংকে জমা এই টাকার প্রায় সবই তুলে নিয়েছে ইভ্যালি। পরে সার্বিক নিরীক্ষায় বোর্ড গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট গঠিত ইভ্যালি বোর্ড প্রধান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, ইভ্যালির সার্ভারটি হলো অ্যামাজনের। এর আগে আমরা বহুবার অ্যামাজনের কাছে দেনদরবার করেছি, সিঙ্গাপুর অফিসের সাথেও যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তাদের একটিই কথা, পাসওয়ার্ড না থাকলে তারা খুলতেই পারবে না।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, এ বিষয়ে ইভ্যালির সিইওর রাসেল সাহেবের কাছে যাওয়া হলে তিনি জানান, পাসওয়ার্ড তার মনে নেই। আর পাসওয়ার্ড তিনি যে ডায়েরিতে লিখেছিলেন, সেটি এখন কোথায় আছে তাও তিনি জানেন না।
মাহবুব কবির মিলন বলেন, ইভ্যালির সঙ্গে লেনদেনের দাবি যাচাই করতে না পারার কারণে বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ের এসক্রো অ্যাকাউন্টে আটকে থাকা ২৫ কোটি টাকাও গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না। এসক্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকের পরিশোধ করা অর্থ গত বছরের ১ জুলাই থেকে গেটওয়েগুলোতে আটকে আছে। বর্তমানে ইভ্যালির বিভিন্ন এসক্রো অ্যাকাউন্টে ২৫ কোটি টাকা আছে।
এদিকে, কয়েক দিনের মধ্যেই ইভ্যালির নিরীক্ষা প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তারপর দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চায় ইভ্যালি বোর্ডের সব সদস্য। বিষয়টি উল্লেখ করে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, সবাইকে সুখি দেখেই দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতে চাই।