১৬ জুন ২০২২, ১২:৫২

আইসিটি ইনকিউবেটর, অ্যাপ ডেভেলপার, টেক উইমেন প্রতিযোগিতা নিয়ে এলো হুয়াওয়ে

প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করছেন অতিথিরা

স্থানীয় স্টার্টআপ এবং তরুণদের আইসিটি দক্ষতার বিকাশে তিনটি নতুন প্রতিযোগিতা চালু করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বুধবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এই তিন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এগুলো হলো- আইসিটি ইনকিউবেটর, অ্যাপ ডেভেলপার এবং টেক উইমেন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং।

এ তিনটি প্রোগ্রামই নতুন স্টার্টআপের সূচনা এবং মোবাইল অ্যাপ তৈরির ধারনা বাস্তবায়নে ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে, আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিযোগিতাটি স্টার্টআপের ওপর আলোকপাত করবে। এ প্রতিযোগিতাটি দু’টি ভাগে বিভক্ত – আইডিয়া পর্যায় এবং সূচনা পর্যায় (আর্লি স্টেজ)। হুয়াওয়ে আয়োজিত আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিযোগিতায় স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে আইডিইএ এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।   

আইসিটি ইনকিউবেশন প্রতিযোগিতার আইডিয়া স্টেজ এবং আর্লি স্টেজ, উভয় ক্ষেত্রে বিজয়ীরা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি পাবেন। স্টার্টআপের প্রধান নির্বাহীরা বিদেশে সফল স্টার্টআপের কার্যক্রম পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন এবং সর্বোচ্চ এক লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট পাবেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবেন যথাক্রমে সর্বোচ্চ তিন লাখ ও এক লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ স্টার্টআপগুলোর প্রধান নির্বাহীরাও বিদেশে সফল স্টার্টআপের কার্যক্রম পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন; সাথে পাবেন ৮০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট। 

আরও পড়ুন: বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ৬ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

অন্য দুটি প্রতিযোগিতার এককভাবে আয়োজন করছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। হুয়াওয়ে অ্যাপ ডেভেলপার এবং হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একটি দলে সর্বোচ্চ দুই সদস্য থাকতে পারবে। র প্রতিযোগিতায় ৩.০ এর ওপরে সিজিপিএ সহ যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রোগ্রামটিতে শুধু নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যদিকে, হুয়াওয়ে অ্যাপ ডেভেলপার প্রোগ্রামে নারী-পুরুষ উভয়ই অংশগ্রহণ করতে পারবেন।  

অ্যাপ ডেভেলপার এবং হুয়াওয়ে টেক উইমেন প্রতিযোগিতার বিজয়ী পাবেন ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি; পাশাপশি, তারা বিশ্বব্যাপী সফল অ্যাপ ডেভেলপারদের সাথে দেখা করারও সুযোগ পাবেন এবং ৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত হুয়াওয়ে ক্লাউড রিসোর্স পাবেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবেন যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই ও এক লাখ টাকা প্রাইজমানি এবং তিন হাজার ও দুই হাজার মার্কিন ডলারের ক্লাউড রিসোর্স। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল সমাজ, জ্ঞনাভিত্তিক অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের একটা স্টার্টআপ কমিউনিটি তৈরি করতে হবে। সেই বিষয়টাকে এগিয়ে দিতে এই প্রতিযোগিতা গুলোর মাধ্যমে চমৎকার একটা পার্টনারশিপ মডেল হুয়াওয়ে গড়ে তুলেছে। মোবাইল এ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য, আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের জন্য যে বিশেষ এই আয়োজন হুয়াওয়ে তৈরি করেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপরা আছেন, মেন্ট্রররা আছেন, বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে নিজেই আছে, এবং সর্বপোরি আমি বাংলাদেশ সরকার থেকে প্রতিনিধিত্ব করছি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ইসিই’র (চুয়েট) ডিন ও আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার অধ্যাপক ড. এম. মশিউল হক, আইডিইএ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ ও সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেড’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিওও ইলমুল হক সজীব। 

আগ্রহী প্রার্থীরা এই প্রোগ্রামগুলোতে অংশগ্রহণ করতে ১৫ই জুন থেকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করুন - https://hibator.com/