ফেসবুক আইডি হ্যাকিং থেকে বাচার উপায়
বাচ্চা থেকে বুড়া যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় সোশ্যাল সাইট বলতে কাকে বোঝানো হয়? তবে এক বাক্যে উত্তর দেবে ফেসবুক। এই উত্তর হাতে হাতে শুধু হাতে গোনা কয়েকজনের নয় গোটা বিশ্বের মানুষ এই একই উত্তরে বিশ্বাস করেন। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফেসবুক ব্যবহারে রীতিমতো আসক্ত হয়ে পড়ছেন এর ইউজাররা।
রোজ নতুন নতুন অ্যাকাউন্ট ওপেনিং হচ্ছে এই সোশ্যাল মাধ্যেমে। তবে সিকিউরিটির ব্যাপারে নিয়ম-কানুন অনেকে তেমন ভালোভাবে জানেন না। যার ফলে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ায় অনেকেই নানা হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
২০১৯ সালে ৫৩ কোটির বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি হয়ে যায়। গত বছরের এপ্রিল মাসে সেসব তথ্য একটি হ্যাকিং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। সেখানে ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর ও ইমেইল প্রকাশ করা হয়।
এরপর ফেসবুকের নিরাপত্তা বাড়াতে ও হ্যাকিং ঠেকাতে গত বছর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ফেসবুক। আগে এসব নিরাপত্তার ব্যবস্থা ঐচ্ছিক থাকলেও এখন সবাইকেই বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে বেশি সময় দিলে, বেশি খারাপ থাকবেন: গবেষণা
এর মধ্যে একটি হচ্ছে, সব অ্যাকাউন্টে গুগল অথেনটিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করা। একটি অ্যাপের মাধ্যমে নতুন কোন ডিজিটাল ডিভাইসে ফেসবুক লগইন করার সময় মোবাইলে থাকা অ্যাপ থেকে কোড দিতে হবে।
এর পাশাপাশি টেক্সট ম্যাসেজ অপশনটি রাখা যায়। কোন কারণে গুগল অথেনটিকেশন অ্যাপ কাজ না করলে মোবাইলের নম্বরে একটি কোড পাঠাবে ফেসবুক। তখন সেটি প্রবেশ করিয়ে লগইন করা যাবে।
এর বাইরে সিকিউরিটি কি ডিভাইস ব্যবহার করা যায়। তবে সেটা তৃতীয় কোন পক্ষের কাছ থেকে কিনে ফেসবুকে রেজিস্টার করিয়ে নিতে হবে।
ই-মেল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে হবে। ব্যবহার শেষে ফেসবুক একাউন্ট থেকে অবশ্যই লগ আউট করতে হবে।
নিউজ ফিডে অথবা মেসেঞ্জারে সন্দেহজনক কোনো লিঙ্ক দেখলে সঙ্গে সঙ্গে রিমুভ করে দিতে হবে। কনফার্ম না হয়ে যেকোনো গেম, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যদের পাঠানো কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা উচিত না।
ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিকল্প ই-মেল আইডি অ্যাড করুন। যদি আপনার প্রোফাইল কোনো কারণে হ্যাকও হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ফেসবুক আপনার দ্বিতীয় ই-মেলে আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য তথ্য পাঠাবে।
অপরিচিত কারোর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার আগে তার প্রোফাইল চেক করে নিতে হবে। একেবারে ব্যক্তিগত কোনো ছবি, তথ্য (ফোন নম্বর, ঠিকানা, ই-মেল এড্রেস ইত্যাদি) ফেসবুকে শেয়ার করা উচিত না।
পাবলিক কম্পিউটারে (সাইবার ক্যাফে, ল্যাব ইত্যাদি) ফেসবুক ব্যবহার না করাই ভালো। তবে ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারের পর লগ ইন হিস্টরি ডিলিট করে দিতে হবে।
ভুক্তভোগীর করণীয় :
১. ফেসবুক হ্যাকের মাধ্যমে হয়রানি কিংবা বিড়ম্বনার শিকার হলে থানায় অভিযোগ জানান।
২. পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করুন।