গুগলের এক উদ্যোগে প্রযুক্তি শিক্ষায় আসছে বড় পরিবর্তন
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান গুগল এবার কলেজ পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার গতানুগতিক ধরন পাল্টে দিচ্ছে। এ জন্য কিছুদিন আগে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ডলারের গুগল ক্যারিয়ার সার্টিফিকেট ফান্ডের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও সুন্দর পিচাই। এর মাধ্যমে কলেজের ধরাবাঁধা শিক্ষাব্যবস্থার স্থলে তথ্য বিশ্লেষণ, তথ্য-প্রযুক্তি, ইউএক্স ডিজাইনের মতো বিষয় গুরুত্ব পাবে।
ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে র্যাংকিংয়ে থাকা কলেজগুলোতে পড়ার গড় বার্ষিক ব্যয় ১০ হাজার ডলার। আর বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় ২৩ হাজার ডলার। এ ছাড়া বেসরকারি কলেজে পড়ার বার্ষিক খরচ প্রায় ৩৮ হাজার ডলার। চার বছরের ডিগ্রি নিতে ব্যয় হয় প্রায় ৪৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৭১ হাজার ডলার।
তবে গুগলের উদ্যোগের ফলে পেশাদার সার্টিফিকেট কোর্সের জন্য ২৩০ ডলারের বেশি ব্যয় হবে না। প্রযুক্তি খাতে এ সনদের গুরুত্বও বেড়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা গুগলের এ সনদ নিতে চেষ্টা করবেন।
যারা প্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে চান, সে ক্ষেত্র এই উদ্যোগ বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে বেল ইনক ম্যাগািজেনর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন কোডিং বুটক্যাম্প ও ইউডেমি বা কোর্সেরার অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পর এ পদক্ষেপ নিচ্ছে গুগল।
গুগলের উদ্যোগের প্রশংসা কেরেছন কন্টেন্ট মার্কেটার ও লেখক জেফ স্টিন। তিনি বলেন, কলেজ ডিগ্রি নিতে যে ব্যয় বহন করতে হয়, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।
অবশ্য অনেকে বলছেন, ডিগ্রির বিকল্প হিসেবে না নিয়ে মান বা দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের এ সনদ নেওয়া উচিত। স্বল্প ব্যয় ও ১৪০টির বেশি প্রতিষ্ঠান গুগলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় এটি চাকরির সুযোগ তৈরি করবে।
আইবিএম’র ট্যালেন্ট শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট জোয়ানা ডালি কিছুদিন আগে বলেছিলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের নিয়োগ দিতে আগ্রহী। ইলন মাস্কও বলেছেন, টেসলায় কাজ করতে ডিগ্রি থাকা আবশ্যক নয়। প্রযুক্তি খাতে দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী চান তিনি।