ডিজিটাল ডিভাইসের আমদানিকারক থেকে রপ্তানিকারকে পরিণত হয়েছি: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:০১ PM , আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৫৭ AM
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, আমরা ডিজিটাল ডিভাইসের আমদানিকারক থেকে উৎপাদনকারী ও উৎপাদনকারী থেকে রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছি।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে 'ওয়ালকাটের'' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাবে সভাপতি শমী কায়সার, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মুনির, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিহা জেরিন আরনা, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ওয়ালটন চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রিজভি।
আরও পড়ুন: মেডিকেলের মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশের সময় পেছাল
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে এখন বিশ্বের কাছে আকর্ষনীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশে সাড়ে ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যারা বাংলাদেশে যার যার শহরে বা ঘরে বসে ইউরোপ-আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিতে আউটসোর্সিং করছে। আউটসোর্সিং করে আইটি ফ্রিল্যান্সাররা সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে।
তিনি বলেন বেসিসের প্রায় ১৭শ কোম্পানির ছোট ছোট স্টার্টআপরা এখন বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের ৬০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে।
তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের সফট্ওয়্যার কোম্পানিগুলো দেশের ব্যাংকগুলোতে কোর ব্যাংকিং সফট্ওয়্যার প্রায় ৩২টি ব্যাংকের ক্লায়েন্ট বেইজড সফটওয়ার (সিবিএস) সাপোর্ট দিচ্ছে। গতবছর ওয়ালটন ১শত ৬০ কোটি টাকার পণ্য ইউরোপ আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করেছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজ ওমিক্রন প্রতিরোধে সহায়তা করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পলক বলেন, আইসিটি বিভাগ সারাদেশে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে এবং আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য এখানে যতগুলো হার্ডওয়্যার থাকবে সেগুলো থাকবে মেইড ইন বাংলাদেশ হার্ডওয়্যার। ডিজিটাল ডিভাইস এবং কান্ট্রি অভ্ অরিজিন হবে বাংলাদেশে। যত সফটওয়্যার ও কনটেন্ট হবে সেগুলোর ডেভলপ, ডিজাইন বাংলাদেশেই হবে বলেও তিনি জানান। পরে প্রতিমন্ত্রী “ওয়ালকার্ট” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।