৫ম ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বুয়েট
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘৫ম ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় (এনজিপিসি-২০২১) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আর রানার আপ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।
আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে বুধবার (১ ডিসেম্বর) ‘৫ম ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (এনজিপিসি-২০২১)-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গার্লস কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ক্লাবের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহায়তায় ৫ম বারের মতো এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কায়কোবাদ প্রধান বিচারক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল কবির এবং এসএসএল ওয়্যারলেসের ডেপুটি চিফ অপারেটর মো. ইফতেখার।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মাহবুব উল হক মজুমদার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভুঁইয়া, এনজিপিসির পরিচালক ও সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ রাশেদ হায়দার নূরী ও এনজিপিসি ২০২১ এর কনভেনর শারমিন আক্তার রিমা প্রমুখ।
এবারের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দল ‘টিম হ্যাজ নো নেইম’, প্রথম রানার আপ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘অডিনারি’ এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের দল ‘রিসাইকেলবিন’। প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে ১২৫টি দল অংশগ্রহণ করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. কায়কোবাদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে বাংলাদেশকে এখনই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমাদের পাশের দেশ ভারত প্রযুক্তিখাতে যেভাবে এগিয়ে গেছে আমরা সেভাবে এগোতে পারিনি। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও পৃষ্টপোষকতা দরকার। আমাদের প্রচুর মেধাবী ছেলেমেয়ে আছে। যারা আইসিটিতে দক্ষ তাদেরকে সামনে এগিয়ে আনতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশের আইসিটি সেক্টরে আমাদের দেশের তরুণরা ভালো করছে। সুতরাং প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষ একটি জাতি তৈরি করা আমাদের জন্য সহজ। শুধু দরকার একটু পৃষ্টপোষকতা।
ড. মো. কায়কোবাদ আরও বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সেই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মেয়েদের বিপুল অংশগ্রহণ দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমারা তোমাদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বাড়াও। সমস্যা সমাধানের দক্ষতাকে শানিত করো। এসময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আয়োজক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান এমন একটি প্রতিযোগিতা প্রতিবছর আয়োজন করার জন্য।
ড. মো. সবুর খান তার বক্তব্যে বলেন, এই প্রতিযোগিতাই শেষ প্রতিযোগিতা নয়। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে যাবে। কারণ আইসিটিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ। তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতায় সেসব মেয়েরা অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে যতœ করতে চায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়। এই মেধাবী সন্তানরা যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এসময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বুট ক্যাম্প করার প্রস্তাব করেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করাই আসল কথা নয়। বরং কর্মজীবনে যেসব দক্ষতার প্রয়োজন হয় সেসব দক্ষতা অর্জন করাই একজন শিক্ষার্থীর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন সফট স্কিল অর্জন করার আহবান জানান।