দেশে কোটিপতির সংখ্যা এক লাখ ছুঁই ছুঁই

১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ জন
১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ জন  © প্রতীকী ছবি

করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও গত এক বছরে দেশে প্রায় ১৩ হাজার ৮৮১ জন মানুষ কোটিপতির তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে একই সময়ের তুলনায় এটি ১৬ শতাংশ বেশি।

গত জুন শেষে দেশে কোটিপতি হিসাব ৯৯ হাজার ৯১৮ -এ উন্নীত হয়, যেখানে গত বছরের জুন শেষে কোটিপতি হিসাব ছিল ৮৬ হাজার ৩৭টি। এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি হিসাব বেড়েছে ১৩ হাজার ৮৮১টি।

করোনাভাইরাস মহামারি দেখা দেওয়ার পরও গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশের ব্যাংক খাতে ১০ হাজার ৫১টি নতুন কোটিপতি ব্যাংক হিসাব যোগ হয়। কোটিপতি হিসাবগুলোতে আমানত যোগ হয় ৬৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোতে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। এই হিসাবগুলোর ০.০৮ শতাংশ হিসাব কোটিপতিদের। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংক খাতে ৫ হাজার ৬৪৬টি কোটিপতি হিসাব যোগ হয়েছে, যেখানে বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোটিপতি হিসাব বেড়েছিল ৩৮২টি। এছাড়া জানুয়ারিতে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাব ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। মার্চ শেষে কোটিপতি হিসাব বেড়ে ৯৪ হাজার ২৭২-এ উন্নীত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, এ বছরের জুন শেষে ব্যাংকগুলোতে ১ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা থাকা হিসাব ছিল ৭৮ হাজার ৬৯৪টি। ৫ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানত থাকা ব্যাংক হিসাব ছিল ১১ হাজার ১৩টি। ১০ কোটি টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা জমা থাকা ব্যাংক হিসাব ছিল ৩ হাজার ৫৯৯টি। ১৫ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা জমা থাকা ব্যাংক হিসাব ছিল ১ হাজার ৭৩২টি। ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানত জমা থাকা ব্যাংক হিসাব ছিল ১ হাজার ১৮৫টি।

কোটিপতি বৃদ্ধির পিছনে কী কারণ রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হুসাইন বলেন, মহামারী চলাকালীন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কেউ কেউ অবৈধভাবে তাদের ব্যবসা চালানোর দায়ে কারাগারে রয়েছেন, কিন্তু তার ব্যাংক হিসাব এখনও চলছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ জন, যা ১৯৭৫ সালে ৪৭ জনে উন্নীত হয়েছিল।


সর্বশেষ সংবাদ