শিশু যৌন হয়রানি রোধে গ্রাহকের আইফোন স্ক্যান করবে অ্যাপল
শিশুদের প্রতি যৌন হয়রানি রোধে ব্যবহারকারীদের আইফোন ডিভাইস স্ক্যান করবে অ্যাপল ইনকর্পোরেশন। কোনো ডিভাইস থেকে শিশুদের যৌন নির্যাতনের কোনো ছবি পাওয়া গেলে, সেটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের মধ্যে এ স্ক্যানিং শুরু করা হবে। শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আইফোন ও আইপ্যাড এ ব্যবহারকারীর তোলা ছবি আইক্লাউডে সংরক্ষণের আগে সেটি স্ক্যান করা হবে যে সেই ছবি কোনো শিশুর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কি না। যদি হয়, তাহলে সেই ছবিটি একজন মানব অপারেটর স্ক্যান করবেন। প্রযুক্তিগত স্ক্যান আর সেই মানব কর্মকর্তার নিরীক্ষা মিলে গেলে ছবি যে ব্যবহারকারীর ডিভাইস থেকে এসেছে, তার সম্পর্কে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠাবে অ্যাপল।
অ্যাপল জানিয়েছে, চলতি বছরেই আইফোন এবং আইপ্যাডে নতুন আপডেট আনতে যাচ্ছে তারা। এ আপডেটে এ ধরনের কোনো ছবি ‘হ্যাশ’ এর মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে। সফটওয়্যার কোডে সেগুলো মিলে গেলে সেটি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি এডিট করা ছবিও ব্যবহার করেন, সেটাও ধরা পড়বে নতুন আপডেটে আসা সফটওয়্যার কোডে।
এ প্রযুক্তি খুবই যথার্থ বলেও দাবি করেছে অ্যাপল। এক বছরে এক ট্রিলিয়ন ছবির মধ্যে মাত্র একটি ছবিতে হয়তো ভুল ফলাফল দিতে পারে নতুন এ প্রযুক্তি।
ইউএস ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেন সংস্থাসহ শিশু নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা থেকে বিভিন্ন সময় শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতনের যেসব ছবি পাওয়া গেছে, তার থেকে এ কোড তৈরি করা হয়েছে। আইফোন ব্যবহারকারীরা যে ছবি তুলবেন, সেটি আইক্লাউডে সংরক্ষণের আগে, আগের ঘটনার ছবিগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। আর এমনটা মিলে গেলেই সতর্কতা (রেড ফ্ল্যাগ) জারি করবে সফটওয়্যার।
এদিকে এমন প্রযুক্তি নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থার নজরদারিতে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।