করোনার চেয়েও ভয়ংকর বলছেন সমাজবিজ্ঞানীরা

টিকটকের ফাঁদে পা দিচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও

  © প্রতীকী ছবি

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে চার দেয়ালের মাঝে বন্দি হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা; বিশেষ করে নগর ও শহরাঞ্চলের শিশু-কিশোররা। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বন্দি এ সময়ে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মোবাইল ও ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে। মোবাইল বা টিভি নিয়ে হয় তারা ঘরের এককোণে পড়ে থাকছে। আর সেগুলো না পেলে ঘরের ভেতর এতটাই দুরন্তপনা করছে যে, তাদের শান্ত রাখতে অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে হাতে ডিভাইস তুলে দিচ্ছেন। 

আর এই সুযোগে টিকটক কিংবা লাইকির মতো প্ল্যাটফর্মে আসক্ত হয়ে পড়ছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এসব অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে তারা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডেও লিপ্ত হচ্ছে তারা। রাজধানীসহ সারাদেশে কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হচ্ছে। তারা জড়িয়ে পড়ছে সমাজের নানা ধরনের অপকর্মে। এ বিষয়ে অভিভাবক ও সচেতন সমাজ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নেশার মতো একটি ফাঁদে ফেলে উদ্দেশ্য হাসিলে কাজ করছে টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো। এক্ষেত্রে কিশোর-তরুণদের দোষারোপ না করে এসব অপচক্রের ফাঁদ কারা তৈরি করছে কিংবা কারা তৈরিতে সাহায্য করছে তাদের বের করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি সন্তানের প্রতি অভিভাবকদের আরও সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে৷ করোনা অতিমারীর চেয়েও এসব প্ল্যাটফর্ম যে কতটা ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে সেটি কিন্তু আমাদের উপলব্ধিতে আসছে না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এখন সরগরম ‘টিকটক’ অ্যাকাউন্ট খুলে রেফার কোড ব্যবহার করে আয় করার বিষয়টি। টিকটক অ্যাপে নতুন একাউন্ট খুলে অন্য একজন ব্যক্তিকে একটি রেফার কোড পাঠালে ওই ব্যক্তি যদি টিকটক অ্যাকাউন্ট খুলে কোডটি ব্যবহার করে তাহলে রেফারকারী ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ২৪০ টাকা। এভাবে যত রেফার করবে তত টাকা বাড়বে। এমনিতে করোনার দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপথে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা, তার উপর টিকটক থেকে টাকা আয়ের এমন অভিনব লোভনীয় ফাঁদে এখন শিক্ষার্থীরা।

ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে ও এর প্রচারণার ক্ষেত্রে টিকটক প্রতিষ্ঠানটি তাদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন অভিনব কায়দা ব্যবহার করে ফাঁদে ফেলছে কিশোর-তরুণদের। অর্থের মোহে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা বুঝে কিংবা না বুঝে টিকটকের এমন বিপথগামী পথে পা বাড়াতও দ্বিধাবোধ করছেন না। যারা কখনো টিকটক অ্যাকাউন্ট খোলেনি তারাও প্রভাবিত হচ্ছে টিকটকের এমন অভিনব কৌশলে। অর্থ আয়ের সন্ধানে এখন টিকটক অ্যাকাউন্ট খুলতে মরিয়া কিশোর-শিক্ষার্থীরা৷

কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র রাসেল মিয়া বলেন, করোনায় লন্ডভন্ড হয়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগামী শিশু-কিশোর ও তরুণদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সংক্রমণের হার কমাতে আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে বন্ধ শারীরিক বিনোদনের স্থানগুলো। এই সুযোগে শিক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলছে টিকটক-লাইকির মতো বিনোদনধর্মী অ্যাপসগুলো। সস্তা বিনোদনের নেশায় পড়ে ছেলেমেয়েরা ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিচ্ছে এসব অ্যাপ ব্যবহার করে ।

তিনি বলেন, সম্প্রতি টিকটকের মাধ্যমে টাকা পেতে শুরু করেছে অনেকেই। এর মাধ্যমে গ্রাহককে টিকটক ব্যবহার করানো ছাড়াও তাঁর দ্বারা অন্যকে ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ ও আসক্ত করাই এই টিকটকের প্রধান উদ্দেশ্য। ফলশ্রুতিতে টাকার লোভে পড়ে টিকটকে অনাসক্ত ব্যক্তিরাও এই ফাঁদে পা দিচ্ছে। টিকটক-লাইকির বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পরিবারের অভিভাবকদে আরো সচেতন হতে হবে। সুস্থ বিনোদন চর্চায় উদ্ধুদ্ধ করতে হবে৷

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের ছাত্রী ফাতেমা নাজনীন সেতু বলেন, তরুণদের লক্ষ্য করে টিকটক সম্প্রতি একটি চমৎকার মার্কেটিং কৌশল বের করেছে। বন্ধুবান্ধবরা একে অপরের সাথে অ্যাপটি শেয়ার করছে এবং নতুন কোনো ইউজার অ্যাপটি ইন্সটল করলেই পেয়ে যাচ্ছে ৬০০ টাকা। সাথে আছে নিয়মিত ব্যবহারের জন্য ক্যাশ উপহার।

তিনি বলেন, ফলে সমাজের তরুণ-তরুণীরা প্রাত্যহিক জীবনের দীর্ঘ সময় টিকটকে অপব্যবহার করছে। শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীরা অন্যান্যদেরও প্রভাবিত করছে। টাকার লোভে তরুণ প্রজন্মের বিশাল একটি অংশ অসুস্থ ধারার বিনোদন চর্চায় অভ্যস্ত হচ্ছে৷ টিকটক আসক্তি তরুণ প্রজন্মের নৈতিক অধঃপতন এবং একইসাথে আমাদের সংস্কৃতির বিপর্যয়ের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আরেক শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন বলেন, এবার যেন বাধ্য হয়েই টিকটক ব্যবহার করতে হবে৷ পরিচিতরা টিকটকে আয় করা যায় এমন খবর শুনেই অন্যান্যদের টিকটক অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রভাবিত করছে। ‘টিকটক রেফার’ সাম্প্রতিক সময়ে খুবই আলোচিত একটি বিষয়। টিকটকে প্রতি রেফারেই পাওয়া যাচ্ছে ২৪০ টাকা।

“কিন্তু বিনা কারণে কেন আমাকে ২৪০ টাকা দিবে একটি প্রতিষ্ঠান? এখানেই সন্দেহের দানা বাধে। বর্তমানে এমন অনেক দিনমজুর আছে যারা পুরো দিন কাজ করেও ৬০০ টাকা উপার্জন করতে সক্ষম নয়। সেখানে একজন টিকটক অ্যাকাউন্ট খুলে অন্যকে রেফার করেই ২৪০ টাকা করে পাচ্ছে, ব্যপারটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিকাশ,নগদও প্রতি রেফারে এত টাকা দেয়না। আমার কাছে মনে হয় সাম্প্রতিক সময়ে অসামাজিক কার্যকলাপের মধ্যমে টিকটকের জনপ্রিয়তায় যে ভাটা পরতে যাচ্ছিলো তারই রক্ষা কবজ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি এমন কৌশলগত পন্থা অবলম্বন করেছে।”

পরিংখ্যান বলছে, বিশ্বব্যাপী টিকটক ব্যবহারকারীর ৪৪% মহিলা এবং ৫৬% পুরুষ। বাংলাদেশেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। করোনাকালে এর সংখ্যা আরো দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে এর ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ৮০ কোটি৷ ২০১৬ সালে যাত্রা করা এই প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই তরুণদের আকৃষ্ট করেছে। এসব টিকটক অ্যাপ ব্যবহারকারীদের অধিকাংশের বয়স ১৬ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে তরুণদের একটি বিরাট অংশ ঝুঁকে পড়েছে এই অ্যাপ ব্যবহারের প্রতি। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, যৌন উত্তেজক কথাবার্তা, অশালীন কাপড় পরিধান করে ৩ থেকে ৬০ সেকেন্ডের ছোট ছোট গান, কৌতুক, নাচসহ বিভিন্নধরনের ভিডিও বানায় এসব উঠতি বয়সী কিশোর-তরুণরা।

বর্তমানে পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠছে 'টিকটক গ্যাং'৷দেশ ও জাতির জন্য এসব টিকটক কালচারাল দিনদিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে৷ খুন, তথাকথিত মডেল বানানোর নামে ধর্ষণ, ছিনতাই, নারী পাচার থেকে শুরু করে মাদকসহ নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ছে এসব টিকটকাররা৷

সম্প্রতি আলোচিত বেশ কয়েকটি ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় তরুণ প্রজন্মের উপর টিকটকের নেতিবাচক প্রভাবের ভয়াবহ চিত্র।

ঘটনা:১ সম্প্রতি ভারতের বেঙ্গালুরুতে ‘টিকটক হৃদয় বাবু' চক্রের মাধ্যমে পাচার হওয়া এক বাংলাদেশি নারীকে নির্যাতন করার বিষয়টি ব্যপক আলোচিত। শত শত তরুণ-তরুণীদের নিয়ে প্রায়ই পার্টির আয়োজন করতেন টিকটিক হৃদয় বাবু। আর এসব পার্টি ছিল হৃদয়ের নারী পাচারের মূল প্ল্যাটফর্ম।

ঘটনা:২ গেল বছর চীনা অ্যাপ টিকটকে নানা ধরণের বিকৃত ভিডিও তৈরি করে ব্যাপক আলোচনায় আসে অপু ভাই। সামাজিকমাধ্যমে নতুন ‘গ্যাং কালচার’ তৈরি করে অপু ও মামুনসহ একাধিক টিকটকার। উত্তরা ছয় নম্বর সেক্টরের আলাওল এভিনিউতে রাস্তা দখল করে বেশ কয়েকজন অনুসারী নিয়ে টিকটক ভিডিও শ্যুটিং অপু ও তার অনুসারীরা। এসময় মেহেদী হাসান নামে স্থানীয় এক তরুণ ও তার বন্ধুরা গাড়ি নিয়ে ওই সড়ক ধরে যাবার সময় হর্ন বাজিয়ে রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে অপু ও তার অনুসারীরা মেহেদী ও তার বন্ধুদের বেধড়ক মারধর করে। সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটছে এমন আরও অনেক নেতিবাচক ঘটনা।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পাঠদানের সাথে পাঠ গ্রহণের একটা সম্পর্ক রয়েছে৷ এসময় পড়াশোনা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, গান, নাচ, গল্প ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক জীবনকে ব্যস্ত রাখে।কিন্তু করোনাকালে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ এসব থেকে বঞ্চিত। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু মাফিয়া চক্র। দেশ ও দেশের মানুষকে ধ্বংস করার জন্য এবং দেশের অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের তরুণ প্রজন্মকে ব্যবহার করছে এসব টিকটক অ্যাপস। করোনা অতিমারীর চেয়েও এসব ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপস যে কতটা ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে সেটি কিন্তু আমাদের উপলব্ধিতে আসছেনা।

অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তরুণরা তাদের পছন্দনীয় অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। মানুষকে নেশার মতো একটি ফাঁদে ফেলে উদ্দেশ্য হাসিলে কাজ করছে টিকটক। এক্ষেত্রে কিশোর-তরুণদের দোষারোপ না করে এসব অপচক্রের ফাঁদ কারা তৈরি করছে কিংবা তৈরিতে সাহায্য করছে তাদের বের করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।এছাড়া এসব নিয়ে আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকদের আরো গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে এবং সেইসাথে প্রত্যেক পরিবারের অভিভাবকদের সন্তানের প্রতি আরো সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে৷

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, র্দীঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শারীরিক উপস্থিতির সুযোগ না পেয়ে অবসরে অলস সময় পার করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে করে সহপাঠী বা অন্যান্য বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা এবং যোগাযোগ কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকছে ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক ও লাইকি পাবজি ফ্রি-ফায়ার এর মতো প্ল্যাটফর্মে। একটি সমীক্ষা বলছে, করোনাকালীন সময়ে এই এসব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন থেকে চারগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাদের ৮০ শতাংশই রয়েছে শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশে ভিডিও কন্টেন্ট স্ট্রিমিং সাইট বঙ্গবিডির অপারেসন্স বিষয়ক পরিচালক ফাইয়াজ তাহের দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দেশে মূলত তরুণ প্রজন্ম, যাদেরকে বলে মিলেনিয়াল তারাই এটি বেশ ব্যাবহার করছেন। মূলত হাসির জিনিস বানাতেই বেশি দেখা যায় তাদের।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির সময়ে টিকটক অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়েছে।

স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. খোকন জানান, ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার ছেলেটা গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাড়ীতে অবস্থান করছেন। প্রথম দিকে একটু পড়াশোনা করলেও এখন সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পাবজি গেম এবং টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে সারাক্ষণ টিকটকে ভিডিও বানাতে থাকে। নিষেধ করলেও বলে সারাক্ষণ বাসায় একা সময় কি করবো? স্কুল খুললে তো আর এইগুলো করবো না।

উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে দেশে করোনা রোগীর শনাক্তের পর থেকে এর সংক্রমণ মোকাবেলায় ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এখন পর্যন্ত বন্ধই আছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে।


সর্বশেষ সংবাদ