যে কারণে বাংলাদেশে অফিস খুলছে না ফেসবুক-গুগল-অ্যামাজন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিনটি ধারার কারণে বাংলাদেশে অফিস খুলে ব্যবসা করতে আসছে না ফেসবুক, গুগল, অ্যামাজনের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান। যদিও অ্যামাজন ২০১৯ সালে বাংলাদেশে কোম্পানি নিবন্ধন করেছে এবং ফেসবুক সম্প্রতি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে অফিস না খোলার ব্যাপারে তারা অনড় রয়েছে। এমনকি এ তিনটি ধারার কারণে বাংলাদেশে বিশ্বমানের টায়ার ফোর ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হলেও সেটি ব্যবহার করছে না কোনো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানই। সংশ্নিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩৫, ৩৬ ও ৪৩ ধারা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো তিনটি ধারা এবং আইনটির বিধিবদ্ধ সাংগঠনিক প্রয়োগ ব্যবস্থার অনুপস্থিতির কারণে বাংলাদেশে দূর থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করতে আগ্রহী। এ মুহূর্তে তাদের ফোর টায়ার ডাটা সেন্টার ব্যবহারেরও কোনো পরিকল্পনা নেই।
আরো পড়ুন বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ইউল্যাব
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশে অফিস স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা এ মুহূর্তে তাদের নেই। আর ফেসবুক প্রগতিশীল আইনের প্রয়োগকেই সমর্থন করে। বাংলাদেশে আরও নিরাপদ ব্যবহারে নীতিগত ক্ষেত্রে উন্নয়নেও সহায়তা দিচ্ছে ফেসবুক।
এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির জানান, অপরাধ সংঘটনের সহায়তার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা না থাকার কারণেই আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আরও একটা সমস্যা হচ্ছে, এটি প্রয়োগে কোনো বিধিমালা এখন পর্যন্ত নেই। আইনের আওতায় যে সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার কথা ছিল, সেটাও হয়নি। ফলে আইনটির প্রয়োগে প্রকৃতপক্ষে যথেচ্ছচার হয়ে যাচ্ছে। এটাও বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বেগের কারণ।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে যে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে পারে, কিন্তু দেশের আইন মানতে হবে। বিভিন্ন দেশের স্থানীয় আইন না মেনে ফেসবুক, গুগল, অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করার সুযোগ দিন দিন সীমিত হয়ে আসছে। বরং তারাও বুঝতে পারছে, প্রতিটি দেশের আইন মেনেই ব্যবসা করতে হবে।