যে স্কুলের শিক্ষার্থীরাই মাইক্রোসফট, অ্যাডোবি ও মাস্টারকার্ডের সিইও
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সত্য নাদেলা, অ্যাডোবির সিইও শান্তনু নারায়ণ এবং মাস্টারকার্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান অজয়পাল সিং বাঙ্গা (গত বছর পর্যন্ত সিইও ছিলেন)। তিনজন তিনটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করলেও এক জায়গায় তাদের মিল রয়েছে। আর সেটা হচ্ছে তারা তিনজন একই স্কুলের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিখ্যাত তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা যে স্কুলে তাদের স্কুল জীবন কাটিয়েছেন সেটির নাম হচ্ছে হায়দরাবাদ পাবলিক স্কুল। ভারতের সেরা স্কুলগুলোর একটি হায়দরাবাদের বেগমপেটের স্কুলটি।
মার্কিন সাংবাদিক স্টিফেন ডাবনারের সঙ্গে ২০১৮ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সত্য নাদেলা নিজেই ওই তথ্য দেন। এরপর বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো লেগে যায় স্কুলটির খোঁজে। একের পর এক সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে।
সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, ডাবনারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের শুরুতে নারায়ণ এবং বাঙ্গার সঙ্গে একই স্কুলে পড়ার ব্যাপারটিকে কেবলই কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন নাদেলা। তবে ডাবনারও ঘাঘু সাংবাদিক। তিনি কি আর সহজে ছাড়েন। নাদেলাদের জীবনে জন্মভূমি ভারত কিংবা হায়দরাবাদের স্কুলটির অবদান জানতে চান।
অবশেষে স্বীকার করেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার নির্দিষ্ট কাঠামো থেকে আমি উপকৃত হয়েছি বলেই আমার বিশ্বাস।’
নিজের জীবনে হায়দরাবাদ পাবলিক স্কুলের (এইচপিএস) অবদান স্বীকার করে নাদেলা বলেন, ‘স্কুলটির সেরা দিকগুলোর একটি হলো, নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষের বাইরে নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা।’
নাদেলা মনে করেন, এইচপিএস শিক্ষার্থীদের জীবন গঠনে কিছুটা ভিন্নভাবে অবদান রাখে। তিনি বলেন, ‘শান্তনু বিতার্কিক ছিল, আমি ছিলাম ক্রিকেটার এবং আমরা সবাই সেখানে নানা বিষয়ে শিক্ষা পেয়েছি।’
এইচপিএস তাঁকে এবং তাঁর সহপাঠীদের চিন্তাশক্তি বড় করতে শিখিয়েছে বলে মনে করেন নাদেলা, ‘সবকিছুর ঊর্ধ্বে এটা আমাদের চিন্তা, শিক্ষা এবং বড় স্বপ্ন দেখার স্বাধীনতা দিয়েছে।’
এইচপিএসের সাবেক প্রিন্সিপাল রমণদ্বীপ কাউর শর্মা সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমসকে বলেছেন, ‘এইচপিএস সেনাপতি তৈরি করে, পদাতিক সৈনিক নয়। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিক। সেটা যে ক্ষেত্রে তাদের ইচ্ছা। ছোট হোক কিংবা বড়, তবে মনপ্রাণ দিয়ে।’