১৩ মাস ধরে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে: পলক

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক  © ফাইল ছবি

চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থার কথা তুলে ধরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি সংকট সৃষ্টি করলেও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের অবকাঠামো ব্যবহার করে দেশে বিগত ১৩ মাস ধরে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। ভার্চুয়াল কোর্টে বিচারিক কার্যক্রম চলছে। চালু রয়েছে পণ্য পরিসেবার জন্যে ই-কমার্স। এর সবই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল।

আজ বুধবার দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ সেবার উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর রুপকল্প প্রদান করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ এর আর্কিটেক্ট সজিব ওয়াজেদ জয় এর কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রুপায়িত হয়েছে। এর সুফল পাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ। ২০১২ সালে চালু করা হয়েছিল জরুরি নাগরিক সেবা ৯৯৯। এরপরে দেশের মানুষের সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে প্রযুক্তির অসংখ্য অবকাঠামো তৈরী করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। নতুন নতুন ধরণের ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটছে। তাই কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি সবাইকে মেনে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করা, নিয়মিত হাত ধোঁয়া এবং নিরাপদ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিজের, পরিবারের, দেশের মানুষের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উত্তরণে সরকার সবকিছুই করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের ৬৪ জেলা এবং ৪৯২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা সেবা প্রদানের সহায়ক হিসেবে পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসা সেবায় সামর্থ্য অনুযায়ী বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।


সর্বশেষ সংবাদ