২৭ মার্চ ২০২১, ২১:৫৬

অর্ডিনারি আইটির সেরা ভিপিএনের তালিকায় ‘টানেল বিইয়ার’

লোগো

ইন্টারনেট দুনিয়ায় নিজের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্যই মূলত ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করা হয়। মূলত অঞ্চলভিত্তিক ব্লক করা সাইটগুলোতে প্রবেশ করতে, তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার্থে এবং সেনসিটিভ কন্টেন্ট ব্রাউজ করার সময় নিজেকে ট্রেস করা থেকে বাঁচাতেই মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করে থাকে।

আজকাল ভিপিএনের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু যে কারণে প্রায় সবাই ভিপিএন ব্যবহার করে থাকেন, সেই কারণে ভিপিএন এর জন্ম হয়নি। মূলত ভিপিএন তৈরি করা হয়েছিল ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রাইভেট নেটওয়ার্কগুলোকে নিরাপদে সংযুক্ত করার জন্য। সম্প্রতি শীর্ষ ৫ ভিপিএনের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সাইট ‘অর্ডিনারি আইটি’।

জনপ্রিয় ভিপিএন সম্পর্কে পাঠকদের ধারণা দেওয়া হলো

১. Tunnel Bear VPN

সবচেয়ে ভালো ভিপিএনের মধ্যে এটি একটি। টানেলবিইয়ারের ডিজাইন বেশ হালকা ও সিম্পল। ব্যবহারও সহজ। নিরাপত্তাও ভালো দেয়। এটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে কিছু লিমিটেশন রয়েছে।

২. hotspot shield VPN

বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য সেরা ভিপিএনগুলোর মধ্যে এটি একটি। নিরাপত্তার দিক দিয়ে অনেক স্ট্রং ও খুব সহজে এটি ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে এই ভিপিএন সার্ভিসের ৫০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে।

৩. ZenMate VPN

সেরা ভিপিএনের মধ্যে অন্যতম একটি হলো যেনমেট। এটি মূলত লাইট ওয়েট ব্রাউজার। এর কোনো সাইন আপ নেই এবং শুধুমাত্র ইমেইল ব্যবহার করে সুরক্ষিত এবং ব্যক্তিগত ব্রাউজিং এর সেবা পাবেন।

৪. Avira Phantom VPN

সবচেয়ে ভালো ভিপিএনের মধ্যে এটি একটি। বিনামূল্যে দেওয়া এই ভিপিএন আপনাকে প্রতি মাসে ৫০০ মেগাবাইট ব্রাউজিং ডেটা দেয়। যেটা পিসি ও স্মার্টফোন দুটোতেই ব্যবহার যোগ্য।

৫. Radmin VPN

সবচেয়ে ভালো সেরা ৫ ভিপিএনের তালিকা করলে রাডমিন ভিপিএনকে সে তালিকায় রাখতেই হবে। এটি আইটি পেশাদারদের জন্য উপযুক্ত একটি ভিপিএন। এর উচ্চগতি ১০০ এম্বিপি/সেকেন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি আনলিমিটেড সার্ভিস দিয়ে থাকে। যার কারণে ব্যবসায়ীদের ব্যবহারে খুবই সুবিধাজনক। রেডমিন ভিপিএন ১০০% ফ্রি সেবা দেয়। এর প্রিমিয়াম সাবক্রিপশন নেই আর এর কোন বৈশিষ্ট্য পে অল এর জন্য লক করাও নেই।

কীভাবে ভিপিএন আপনাকে সাহায্য করতে পারে?

আপনি যখন আপনার ডিভাইসটিকে ভিপিএনে কানেক্ট করেন তখন এটা অন্য কোন একটা কম্পিউটারে (সার্ভারে) নিজেকে সংযুক্ত করে এবং ইন্টারনেটের সাথে আপনার যোগাযোগের জন্য একটি গোপন রাস্তা বা সুড়ঙ্গ তৈরি করে। আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) এই সুড়ঙ্গের উপস্থিতি বুঝতে পারলেও এর মধ্যে ঢুকতে পারবেনা। ফলে আপনি কোন সাইট ব্রাউজ করছেন কিংবা কী ডেটা পাস করছেন তা আইএসপি জানতে পারবে না। তখন আপনার দেশে বা আইএসপিতে যদি কোন সাইট ব্লক করা থাকে সেই সাইটটিও আপনি ভিপিএন ব্যবহার করে ব্রাউজ করতে পারেন। আর এই সব ডেটা ভিপিএন ব্যবহারের সময় এনক্রিপ্টেড হয়ে যায়।

কী কী কাজে ভিপিএন ব্যবহার করা হয়?

ভিডিও ও অডিও স্ট্রিমিং সাইটগুলোতে নির্দিষ্ট দেশের জন্য স্পেসিফিক কন্টেন্টগুলো যে কোন দেশ থেকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) এর মাধ্যমে ব্রাউজ করতে পারবেন। যেমন ধরুন স্পটিফাই সাইট থেকে বাংলাদেশে বসে আপনি গান শুনতে পারবেন না। কিন্তু চাইলেই ইউএস বা অন্য কোন দেশ যেখানে স্পটিফাই এর সার্ভিস আছে সেসব দেশের আইপিযুক্ত সার্ভারে ভিপিএন দিয়ে কানেক্ট করে আপনিও স্পটিফাই সার্ভিস বাংলাদেশে বসেই ব্যবহার করতে পারবেন।

নিজের তথ্য নিরাপদ রাখতে

আপনি যদি পাবলিক প্লেসে ফ্রি ওয়াই-ফাই হটস্পট ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ব্রাউজিং ডেটা সেইম নেটওয়ার্কে থাকা অন্যান্য মানুষ ট্রেস করতে পারে যদি সে এই বিষয়ে এক্সপার্ট হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে বাঁচাবে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN)। আপনি ভিপিএন দিয়ে কানেক্ট করলে আপনার ওয়াইফাই সংযোগে কেউ আড়ি পাতলে কিংবা এমনকি আপনার আইএসপি নিজেও শুধু একটা প্রাইভেট নেটওয়ার্কই দেখবে। এর ভিতরে যে সব ডেটা পাস হচ্ছে সেসবের নাগাল পাবে না।

নিজের প্রকৃত লোকেশন গোপন করতে

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ট্র্যাকিং থেকে বাঁচতে আপনি যদি আপনার প্রকৃত লোকেশন গোপন রেখে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান তাহলে ভিপিএন আপনাকে সেই সুবিধা দিবে। এছাড়া আপনি হয়তো জানেন যে চীনে সরকারীভাবে অনেক সাইটই বন্ধ করে রাখা আছে (এমনকি ফেসবুকও)। চায়নিজরা ভিপিএন ব্যবহার করেই প্রয়োজন পড়লে সেসব সাইট ব্রাউজ করে পুরো ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত থাকে।