সৃজনশীল ও সুস্থ ধারার বিনোদনমূলক কনটেন্ট তৈরির আহবান পলকের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সৃজনশীল ও সুস্থ ধারার বিনোদনমূলক কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে অবদান রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (৬ মার্চ) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মুজিব আমার পিতা-বাংলাদেশে এনিমেশন ফিল্মের নব দিগন্ত’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ৩টি দ্বি-মাত্রিক চলচ্চিত্র (এনিমেশন ফিল্ম) তৈরি করছে আইসিটি বিভাগ। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লেখা অবলম্বনে নির্মিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব আমার পিতা’। সেই সাথে এগিয়ে চলছে মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কে নিয়ে লেখা ‘মুজিব ভাই’ এবং ১০ পর্বে ১০০ মিনিটের একটি এনিমেশন সিরিজ ‘খোকা’ তৈরির কাজ।
এ ধরনের চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও তৈরীর জন্য রাজশাহী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে এবং অন্য আরও ১২ টি হাইটেক পার্কে আধুনিক সিনেপ্লেক্স স্থাপন করা হচ্ছে জানিয়ে এ বছরই রাজশাহীতে এর একটি উদ্বোধন করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সুস্থ্য চলচ্চিত্র ও সমাজ গঠনে ‘মুজিব আমার পিতা’ ২০২১ সালের ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও তার কন্যার অর্থনৈতিক মুক্তিকে টেকসই করতে দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রযুক্তি নির্ভর প্রজন্ম গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ সাধ্য মত সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুস্থধারার কন্টেন্ট তৈরির কাজে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদকে সহযোগিতার জন্য অন্যান্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সমূহের প্রতি আহবান জানান তিনি।
মুজিব আমার পিতা এনিমেশনটি বিশ্বমানের হয়েছে মন্তব্য করে পলক বলেন, আমাদের নাফিস ইকবাল কুংফু পান্ডা করে দুইবার অস্কার পেয়েছে। সোহেল রানার দলও অস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু কুংফু পান্ডার মতো পারিপার্শ্বিকতা বা প্লাটফর্ম কে করে দিচ্ছে! ওইরকম ভাবে সরকারি-বেসরকারি খাত থেকে সামর্থ মতো এগিয়ে আসলে আমাদের নতুন প্রজন্ম আরও এগিয়ে যাবে।
তারজিনা সুলতানা আশার সঞ্চালনায় ‘মুজিব আমার পিতা’ গ্রাফিক নভেলের অ্যানিমেশন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘প্রোলেন্সার স্টুডিও’ দলের নির্মাতার তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
এই আড্ডায় অংশ নেন এনিমেটর ও চলচ্চিত্রটির পরিচালক সোহেল মোহাম্মাদ রানা, শিল্পী মনিরা আলম এবং রফিউজ্জামান রিদম। আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশে এনিমেশন চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশে আইসিটি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান সিআরআই এর সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ।