আগামী বছরের মধ্যে গ্রামেও ফোরজি পৌঁছে দেবে টেলিটক
টেলিটক গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিইও) মো. সাহাব উদ্দিন। সোমবার দুপুরে টেলিটকের ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজ থেকে লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ আশ্বাস দেন।
ফেসুক লাইভে সাহাব উদ্দিন বলেন, রবি বা বাংলালিংকের যে বিনিয়োগ, সেই তুলনায় আমাদের বিনিয়োগ খুবই কম, সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা মাত্র। আমরা চেষ্টা করছি শক্তিশালী কানেক্টিভিটি গড়ে তোলার। সব সমস্যার সমাধান করে আগামী ১-২ বছরের মধ্যে আমরা গ্রাম পর্যায়ে ফোরজি নেটওয়ার্ক পৌঁছাতে পারবো বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, ফোরজি আমরা প্রত্যেকটি জেলা শহরে পৌঁছাতে পেরেছি। থ্রিজি নেটওয়ার্ক প্রত্যেকটি উপজেলা পর্যন্ত পৌঁছানো গেছে। টুজি আমাদের গ্রাম পর্যায়ে আছে। এই আধুনিক প্রযুক্তি জগতে টুজি, থ্রিজি নেটওয়ার্ক থাকবে না। আমরা এখন সরাসরি ফোরজির দিকে ঝুঁকছি। যার মাধ্যমে আমরা আগামীতে উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে পারবো।
দেশের অন্যান্য মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে টেলিটকের তুলনা করে তিনি বলেন, টেলিটক এমন একটি অপারেটর যেখানে অন্য অপারেটর এখন পর্যন্ত কানেক্টিভিটি দিতে পারেনি, সেখানে টেলিটক পৌঁছেছে। টেলিটক একমাত্র প্রতিষ্ঠান সুন্দরবনের যার কানেক্টিভিটি আছে। আমরা খুব দ্রুত হাওর-বাঁওড় এলাকায় টেলিটকের কানেক্টিভিটি পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আশা করি এই মাসে আমরা ওইসব এলাকায় টেলিটকের কার্যক্রম চালু করতে পারবো।
কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, পার্বত্য এলাকা, নোয়াখালী ও কয়েকটি ছিটমহলে এ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে কাজ করছে টেলিটক। এ প্রকল্পে প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে এবং এসব সাইটে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হবে ফোরজি প্রযুক্তির মাধ্যমে।
সাহাব উদ্দিন বলেন, টেলিটকের গ্রাহকের ব্যবহারের টাকায় এ প্রতিষ্ঠান বেঁচে আছে। টেলিটকের বিনিয়োগ মাত্র সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা, সাড়ে ৫ হাজার বিটিএসের মধ্যে তিন হাজার ৩০০ বিটিএস দিয়ে ফোর-জি সেবা দেওয়া হচ্ছে। টুজি আমাদের গ্রাম পর্যায়ে রয়েছে। গ্রাম পর্যন্ত আমরা ফোরজিতে চলে যেতে চাই।