গ্রাহককে না জানিয়ে টাকা কাটায় রবি-বাংলালিংককে নোটিস
গ্রাহককে না জানিয়ে তাদের অজান্তেই সেবা চালু করে টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়ে টেলিকম অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার পাঠানো নোটিসে কনটেন্ট প্রোভাইডারদের মাধ্যমে সব টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টিভ্যাস) বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি। পাশাপাশি সাত কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটিকে।
দুটি অপারেটরকে পৃথকভাবে পাঠানো নোটিসে বলা হয়, গ্রাহকের কাছ থেকে দুইবার সম্মতি নিয়ে টিভ্যাস সেবা চালু করার বিধি থাকলেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে গ্রাহকের অজান্তেই তার মোবাইলে সেবাটি চালু হয়ে থাকে এবং গ্রাহকের ব্যালেন্স থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়।
কনটেন্ট প্রোভাইডার এবং বাংলালিংক ও রবি গ্রাহকের অজান্তে তার মোবাইল বিভিন্ন টিভ্যাস চালু করার মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করছে বলে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে বিটিআরসি।
চিঠিতে বলা হয়, “টিভ্যাস গ্রাহকের অধিকাংশই সমাজের নিম্ন আয়ের, শিক্ষায় পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী যারা শহরতলী বা গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন।
বাংলালিংক ও রবির সরাসরি সহযোগিতা ছাড়া এইসব গ্রাহকের তালিকা কনটেন্ট প্রোভাইডারদের পক্ষে হস্তগত করা সম্ভব নয়। এসব টিভ্যাসের সার্ভিস ডেলিভারি প্লার্টফর্ম বাংলালিংক ও রবির নিয়ন্ত্রাধীন।
এতে বলা হয়, বাংলালিংক ও রবির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গ্রাহকের অজান্তে তার মোবাইল ফোনের সার্ভিস অ্যাক্টিভেট করে মোবাইল থেকে টাকা নেওয়ার ফলে বাংলালিংক ও রবি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১, সুস্পস্ট লংঘন করেছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলালিংক ও রবির সকল টিভ্যাস কেন বন্ধ রাখা হবে না সে বিষয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি।
একই সাথে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চিঠি পাঠানোর তারিখ থেকে রবি ও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কমিশন থেকে নিবন্ধিত কনটেন্ট প্রোভাইডারদের মাধ্যমে সকল টিভ্যাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিটিআরসির উপ পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান বলেন, গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় বিটিআরসি বদ্ধপরিকর এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিক পেশাদারিত্বের প্রতি মনোযোগী হতে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। নতুবা আইন ও বিধি মোতাবেক কঠোর পদক্ষেপ গৃহিত হবে।