০৯ নভেম্বর ২০২০, ২৩:১৯

ফাইভজির প্রস্তুতিকে ত্বরান্বিত করবে ম্যাক্সিস-হুয়াওয়ের উদ্যোগ

ফাইভজির প্রস্তুতিকে ত্বরান্বিত করবে ম্যাক্সিস-হুয়াওয়ে টেকসিটি উদ্যোগ  © টিডিসি ফটো

চলতি বছরের শুরুর দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে টেকসিটির অংশীদারিত্বের পরে, ম্যাক্সিস এবং হুয়াওয়ে মালয়েশিয়া ফোরজি নেটওয়ার্ক থেকে ফাইভজি প্রযুক্তিতে সহজে রূপান্তরের পথ প্রস্তুতে কাজ শুরু করেছে। ম্যাক্সিস হুয়াওয়ের সাথে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে কুয়ালালামপুরের কিছু এলাকা নির্বাচন করে।

ফাইভজি সক্ষমতা ও ব্যবহারকারীকে উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে এসব এলাকায় দ্রুতগতির ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপন ও এর সক্ষমতা নিরূপণে এ পরীক্ষা চালানো হয়। তরঙ্গ বরাদ্দের পর এ সব এলাকা ফাইভজি প্রযুক্তি স্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হবে।

ভবিষ্যতে মালয়েশিয়ার জনগণ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব রাখতে ও সর্বোত্তম কানেক্টিভিটির অভিজ্ঞতা প্রদানে ফোরজি ও ফাইভজি অবকাঠামো তৈরি করতে টেকসিটি ইনিশিয়েটিভ কাজ করছে। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গবেষণা ও উন্নয়নে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নিবিড়ভাবে কাজ করতে এবং নতুন ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিতে ম্যাক্সিস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অপারেটরদের সাথে যুক্ত হয়েছে। হুয়াওয়ের টেকসিটি ইনিশিয়েটিভ লন্ডন, সিউল ও টোকিও বিশ্বের বেশ কিছু শহরে চালু হয়েছে।

লাইভ নেটওয়ার্কে বিদ্যমান ব্যবহারকারী ডিভাইসগুলোর জন্য উচ্চগতির নেটওয়ার্ক সক্ষমতা অর্জনে রেডিওর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ম্যাক্সিস ফোরজি নেটওয়ার্কে নতুন রেডিও সল্যুশনে প্রথম এফডিডি (ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন ডুপ্লেক্স) মিমোর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু করেছিলো। পরীক্ষামূলক মিমো ট্রায়ালে ট্র্যাফিকের পরিমাণ ১.৪ গুণ বৃদ্ধি পায়।

একই সময় ম্যাক্সিস ও হুয়াওয়ে ১৮০০ মেগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে ডায়নামিক স্পেকট্রাম শেয়ারিং (ডিএসএস) ব্যবহার করে এলটিই ও নিউ রেডিও (এলএনআর) এর পরীক্ষামূলক সম্প্রচার সফলভাবে শেষ করেছে। এটি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য প্রথম সাব-থ্রিগিগাহার্টজের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার, যা ম্যাক্সিসকে বিদ্যমান ফোরজি ফ্রিকোয়েন্সি এবং আগামীতে ফাইভ-জি’র সরঞ্জামের পুনঃব্যবহারের সুযোগ দেয়, যা প্রথাগত স্ট্যাটিকের তুলনায় স্পেকট্রামের দক্ষতা দেড়গুণ পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারবে। শেনঝেনে হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয় থেকে ম্যাক্সিস ও হুয়াওয়ের আরঅ্যান্ডডি টাস্ক ফোর্স এর যৌথ সমন্বয়ে এটি অর্জিত হয়েছে।

এ বিষয়ে ম্যাক্সিসের চিফ টেকনোলজি ও ইনফরমেশন অফিসার মরট্রেন ব্যাংগসগার্ড বলেন, ‘স্মার্ট সল্যুশন ইকোসিস্টেমকে ত্বরান্বিত করাই ফাইভজি টেকসিটি প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য, যা ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এর দৃষ্টিকোণ দেশের ডিজিটাল অর্থনীতি এবং এর প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রকে ত্বরাণ্বিত করার চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদার হুয়াওয়ের সাথে মিলে এ প্রোগ্রামটিতে অগ্রগতি আনতে পেরে আমরা আনন্দিত। তাদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সক্ষমতার সমন্বয় সকল মালয়েশিয়ান নাগরিকদের উন্নত ডিজিটাল কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় সল্যুশন প্রোভাইডার হিসেবে আমাদের লক্ষ্যকেও সমর্থন করে।’

হুয়াওয়ে মালয়েশিয়ার প্রধান নির্বাহী মাইকেল ইউয়ান বলেন, ‘ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের ক্ষেত্রে আইসিটি খাতের নীতিমালা প্রণয়নে ইতিবাচক অগ্রগতি সাধন করেছে মালয়েশিয়া। এক্ষেত্রে, ব্যবহারকারীদের ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা প্রদানে এবং নেটওয়ার্ক সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে একটি প্রবৃদ্ধিশালী ইকোসিস্টেম তৈরির এ পথচলায় টেকসিটি নিয়ামক ভূমিকা রাখছে। ফাইভজি’র সমাধান তৈরিতে টেকসিটি ইনিশিয়েটিভ নিয়ে ম্যাক্সিসের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশ্বের অন্যান্য বাজারেও এ উদ্যোগ চালু করা যেতে পারে।’