বাংলাদেশে এখনই অফিস খোলার পরিকল্পনা নেই: ফেসবুক

  © লোগো

শিগগরিই বাংলাদেশে অফিস খোলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে ফেসবুক। এর পরিবর্তে সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অশিংদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করবে তারা। আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ফেসবুকের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের হেড অব সেইফটি পলিসি অ্যাম্বার হকস ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাম্বার হকস বলেন, বাংলাদেশে আমাদের অফিস খোলার এই মুহূর্তে কোন পরিকল্পনা নেই। অফিস খোলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নই মানে এমন নয় যে আমাদের সম্পর্ক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা সম্প্রতি এক পাবলিক পলিসি ম্যানেজার নিয়োগ করেছি। আমরা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে বিনিয়োগ করছি। এনজিও, নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থা এবং সিভিল সোসাইটি সংস্থার সাথে কাজ করার ভাবছি। আমরা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার বাড়ানোর পরিকল্পনার করছি।

ফেসবুকের সেইফটি পলিসি নিয়ে অ্যাম্বার হকস বলেন, চলতি বছরের শুরুতে ইনফরমেশন হাবের মাধ্যমে করোনাকালীন কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে থাকা যাবে সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের সচেতন করতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সাথে অংশীদারিত্ব করেছে ফেসবুক।

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে ফেসবুকের বিভিন্ন নীতি, টুলসের কথা তুলে ধরে তিনি জানান, ফেসবুক সহিংসতা সমর্থন করে কিংবা সহিংস কার্যকলাপে উৎসাহিত করে এমন পোস্ট সরিয়ে ফেলে। ফেসবুকে ১৮ বছরের কম বয়সী অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন এবং ব্যবহারকারীরা সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময়। এ দিকটি বিবেচনায় রেখে ব্যবহারকারীদের নগ্নতাপূর্ণ ও রুচিহীন পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট ফেসবুক।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ফেসবুক সর্বশেষ গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ২৯৮টি আইডি সম্পর্কে ১৭৯টি অনুরোধ পেয়েছে। এরমধ্যে ৮৪টি আবেদন করা হয় আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। আর ৯৫টি আবেদন করা হয় জরুরি প্রয়োজনে। এসব অনুরোধের মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ তথ্য বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে ফেসবুক।


সর্বশেষ সংবাদ