৪ মাসেও এলো না ল্যাপটপ, ইভ্যালি ওয়েব থেকেও উধাও দোকান!

ভুক্তভোগী মুজাহিদুল ইসলাম রায়হান ও ইভ্যালির লোগো
ভুক্তভোগী মুজাহিদুল ইসলাম রায়হান ও ইভ্যালির লোগো  © সংগৃহীত

দেশের আলোচিত অনলাইন শপ ইভ্যালিতে অর্ডার করার পর চার মাসেও পণ্য বুঝে পাননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম রায়হান। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিস্তারিত স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, আগের ল্যাপটপটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন ল্যাপটপটি অর্ডার করি। কিন্তু আজ চারমাসেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী এ্যাডভান্স ১৭ হাজার টাকা ব্যাংক কার্ড ও ২৫ হাজার ৫০০ টাকা ইভ্যালি ব্যালেন্সের মাধ্যমে প্রদান করি।

নিজের পরিচয় দিয়ে পুরো বিষয়টি নিয়ে রায়হান লেখেন, গত জুন মাসের ২৭ তারিখে আমি ইভ্যালি একটি ল্যাপটপ অর্ডার করি; যা তারা ৪৫ কার্যদিবসের মাঝে ডেলিভারি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু গত ১ সেপ্টেম্বর ৪৫ কার্যদিবস শেষ হওয়ার পরও অর্ডারটি প্রসেসিং থেকে যায়। উপরন্তু, আমি যে শপ (ডিজায়ার বাজার) থেকে অর্ডারটি দেই, তা আর ইভ্যালিতে খুঁজে পাচ্ছি না। এ বিষয়ে ইভ্যালির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর দেয়নি এবং শপে যোগাযোগ করলে তারা ইভ্যালির সাথে যোগাযোগ করতে বলে।

তিনি বলেন, আমার আগের ল্যাপটপটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন ল্যাপটপটি অর্ডার করি। কিন্তু আজ চারমাসেও তারা এটি ডেলিভারি দেয়নি। আমি নিয়ম অনুযায়ী এডভান্স ১৭ হাজার টাকা ব্যাংক কার্ড ও ২৫ হাজার ৫০০ টাকা ইভ্যালি ব্যালেন্সের মাধ্যমে প্রদান করি। ইতোমধ্যে আমাদের অনলাইন ক্লাস চলছে এবং আমি এসাইনমেন্ট রাইটিং এর কাজ করি, যার জন্য আমি পুরোপুরি ল্যাপটপ ডিপেন্ডেন্ট। দীর্ঘদিন থেকে এসাইনমেন্ট (আউটসোর্সিং) করতে না পারা আমার আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ ও ইভ্যালিতে কর্মরত কোন বড় ভাই (যদি থাকে) কাছে সাহায্য চাচ্ছি। যদি কোনভাবে আমার প্রোডাক্টটি পেতে বা এর অর্থমূল্য ফেরত পেতে সাহায্য করে, কৃতজ্ঞ থাকবো। ইভ্যালি ইনভয়েস নং #EVL397661476। ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারণে তা রিজেক্ট করা হয়েছে।’

রায়হান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘পণ্যটি পাব কিনা, সে ব্যাপারে ইভ্যালি থেকে এখনও পর্যন্ত কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। পাওয়ার ব্যাপারেও আশ্বাস পাইনি।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে ইভ্যালির ওয়েবসাইটে দেয়া যোগাযোগ নাম্বারে কয়েকবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ইভ্যালির দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ