প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধের খবর কি সত্য?
নানা আপত্তি, অসুবিধা জানানোর পরও থেমে নেই অভিযান। রাজধানীতে চলছে ঝুলন্ত তার অপসারণ। তবে করা হয়নি কোনো বিকল্প ব্যবস্থাও। ইন্টারনেট কিংবা স্যাটেলাইট সংযোগ সেবা পেতে চরম ভোগান্তি পড়েছেন রাজধানীর লাখ লাখ মানুষ।
এদিকে, লোকসানে পড়ে আগামী রবিবার (১৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে সারা দেশে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেবাদাতারা। সারা দেশে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ইন্টারনেট ও কেবল টিভি (ডিশ) সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে আইএসপিএবি ও কোয়াব।
রাজধানীতে পরিকল্পনাহীন তার অপসারণে শুধু অর্থনীতি নয়, দাপ্তরিক কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। কেবল অপারেটরেরা ধর্মঘট শুরু করলে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ। আলোচনার মাধ্যমে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে সবপক্ষ।
কোনো কোনো ইন্টারনেট সেবাদাতা বড় প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের সেবা বন্ধের বিষয়টি জানিয়ে ই-মেইল ও মোবাইল মেসেজ পাঠানো শুরু করেছে। যেমন আজ লিংক-৩ টেকনোলজি গ্রাহকদের ই-মেইল পাঠিয়ে আগামী রবিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানায়।
গত ৫ আগস্ট থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রাস্তার ওপরে ঝুলে থাকা তার অপসারণে অভিযান পরিচালনা করছে। তারা বলছে, করপোরেশন এলাকায় ব্যবসা করতে হলে তাদের লিখিত অনুমতি নিতে হবে। এরা কেউ সিটি করপোরেশনের অনুমতি নেননি। গতকাল বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি ৪৮টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৮৫টি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ঝুলন্ত কেব্ল অপসারণ করেছে।
দক্ষিণে অভিযান চললেও উত্তর সিটিতে অন্য চিত্র দেখা গেল। উত্তরের মেয়র সেবাদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে একেকটি এলাকা বা সড়ক নির্ধারণ করে পর্যায়ক্রমে সেখানকার ঝুলন্ত তার অপসারণ করছে। উত্তরে ইতোমধ্যে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কয়েকটি সড়ক ও গুলশান অ্যাভিনিউ সড়কের দুই পাশের ঝুলন্ত কেবল অপসারণ করা হয়েছে।
করোনা সংকট মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি ধরে রাখতে সারাবিশ্বই নির্ভর করছে অনলাইন যোগাযোগের ওপর। এ অবস্থায় হঠাৎ করে তার অপসারণে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনৈতিক ও দাপ্তরিক নানা কাজকর্ম। দেশের দুই শেয়ারবাজারের লেনদেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমনকি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রমও হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট না পেলে বন্ধ থাকবে এটিএম সেবাও। এতে শত শত কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছেন প্রযুক্তিবিদরা।
এদিকে, ১৭ অক্টোবরের মধ্যে চলমান সমস্যা সমাধানের সিটি করপোরেশন সময়সীমা বেধে দিয়েছেন, ইন্টারনেট ও ডিস সেবা প্রদানকারী দুটি সংগঠনের নেতারা।