০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৪৮

ইভ্যালির বিষয়ে তদন্তে নামছে দুদকসহ সাত সংস্থা

অনলাইন মার্কেটপ্লেস ই-ভ্যালির কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে সাত সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও সরকারি সংস্থাগুলো হল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), প্রতিযোগিতা কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুছ সামাদ আল আজাদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে গত রোববার এ চিঠি পাঠানো হয়। গত ২৪ আগস্ট গঠিত তিন সদস্যের কমিটি গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে।

এ বিষয়ে বাণিজ্যসচিব মো. জাফরউদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখানে অনেক বিষয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারের বাইরে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যাতে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে।’

দুদককে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতারণা, জালিয়াতি ও ঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ই-ভ্যালি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নিতে জননিরাপত্তা বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে। এনবিআরকে পাঠানো চিঠিতে ই-ভ্যালির মূল কোম্পানি ই-ভ্যালি ডট কম নিয়ে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের প্রযোজ্য ধারা ও বিধান মোতাবেক তদন্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে পাঠানো চিঠিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ই-ভ্যালি পণ্যের অর্ডার নিলেও প্রতিশ্রুত সময়ে গ্রাহকদের সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিযোগিতা কমিশনকে চিঠি দিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে, ই-ভ্যালির নজরকাড়া অফারের কারণে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সুস্থ চর্চা ব্যাহত হয়েছে। মানি লন্ডারিং–সম্পর্কিত কিছু থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএফআইইউকে তদন্ত করে জানাতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তিনি চিঠি পেয়েছেন, কাজও শুরু করছেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও একই কথা জানিয়েছে।

গত ২৭ আগস্ট ই-ভ্যালি ও এর চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের ব্যাংক হিসাব সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। এছাড়া ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এবং ই-ভ্যালিকে আলাদা চিঠি দিয়ে তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশন। 

এছাড়া ২৫ আগস্ট ই-ভ্যালির কার্ডে লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। পরে ১ সেপ্টেম্বর ই-ভ্যালির ব্যবসা পদ্ধতি পর্যালোচনায় সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে ই-ক্যাব।