ভারতের উচ্চ চাহিদায় ‘বয়কট চায়না’ লেখা ক্যাপ-টিশার্ট বানাচ্ছে চীন

  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় দেশটি থেকে চীনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছিল। ভারতীয়দের মধ্যে চীন বিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগাতে দেশটির পোশাক সংস্থাগুলো #বয়কটচায়না (#BoycottChina) স্লোগান লেখা ক্যাপ এবং টি-শার্ট উৎপাদন শুরু করেছে।

লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে চীনা পণ্য বর্জন করে অর্থনৈতিকভাবে দেশটিকে শিক্ষা দেওয়ার সংকল্প থেকেই ভারতীয়রা এই স্লোগানগুলো প্রচার করে আসছিল। এরই মধ্যে মেড ইন চায়না (চীনে প্রস্তুতকৃত) ট্যাগসহ এই পণ্যগুলোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভারতে খুচরা পণ্যের ব্যবসা করেন এমন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মন্ডলে’র সাধারণ সম্পাদক ভিপিন বনসাল জানান, ভারতীয় সৈনিকদের মৃত্যুতে সারা দেশেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে। আমরাও ভারতেরই নাগরিক। তাই এই পরিস্থিতিতে আমরা কেউই চীন থেকে পণ্য আমদানি করে সেদেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করতে রাজী নই।

এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চীনা পণ্য বর্জন করা হলে ভারতীয় অর্থনীতিতে বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চীন যদি ভারতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বা নিষেধাজ্ঞার চাপ প্রয়োগ করে, তবে চীনকে প্রতিস্থাপনের জন্য ভারত কোনো নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য অংশীদার না পাওয়া পর্যন্ত এটি ভারতের অর্থনীতির পক্ষে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াবে।

কমপক্ষে ৫০০টি চীনা পণ্যের একটি তালিকা তৈরি এসব পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে দেশটির ব্যবসায়িক সংগঠন দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)। পণ্যগুলোর মধ্যে- খেলনা, ফার্নিশিং ফ্যাব্রিক, টেক্সটাইল, বিল্ডার হার্ডওয়্যার, ফুটওয়্যার, গারমেন্ট, রান্নাঘরের জিনিস, লাগেজ, হ্যান্ড ব্যাগ, কসমেটিক্স , গিফট, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র, ঘড়ি, রত্ন ও গয়না, হেল্থ প্রডাক্ট, মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ, দিওয়ালি ও হোলির জিনিস উল্লেখ্যযোগ্য।

বিষয়টি নিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানিয়েছেন, ভারতবর্ষে এই ধরনের বস্তু উৎপাদনের কোন উদ্যোগ নেই, তাই আমদানি করে চলতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহ প্রদান করা হবে ৷


সর্বশেষ সংবাদ