১৩ মে ২০২০, ১৭:৩৪

করোনা: বাড়ি থেকে আজীবন কাজ করতে পারবেন টুইটারের কর্মীরা

  © বিবিসি

করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে, তারা চাইলে ‘আজীবন’ বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। লকডাউনের সময় টুইটার বাড়ি থেকে কাজ করার যে ব্যবস্থা চালু করেছিল, সেটি কার্যকর হওয়ায় কোম্পানি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে সেই সঙ্গে কোম্পানি এও জানিয়েছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর যখন অফিস খোলা হবে, তখন চাইলে কর্মীরা অফিসেও আসতে পারবেন। এর আগে, এ মাসের শুরুর দিকে গুগল ও ফেসবুক জানিয়েছে, বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন।

বাড়ি থেকে কাজ করার ঘোষণায় টুইটার বলেছে, ‘গত কয়েকমাসে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, আমরা এটা (বাড়ি থেকে কাজ) করতে পারছি। সুতরাং আমাদের কর্মীরা যদি বাড়ি থেকে কাজ করার মতো দায়িত্ব ও পরিস্থিতিতে থাকে এবং তারা যদি বাড়িতে বসেই আজীবন কাজ করতে চায়, আমরা সেই ব্যবস্থা করবো।’

টুইটার তাদের ঘোষণায় আরো বলেছেন, যেসব কর্মীরা অফিসে আসতে আগ্রহী, টুইটার তাদের সেই ইচ্ছাকেও স্বাগত জানাবে। তবে সেক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিশ্বজুড়ে সানফ্রানসিসকো ভিত্তিক এই কোম্পানির চার হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। গত মার্চ মাস থেকেই এই কোম্পানিটি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। সেপ্টেম্বরের আগে তাদের অফিস চালু করার সম্ভাবনা নেই।

টুইটারের ঘোষণাকে ‘যুগান্তকারী’ বলে বর্ণনা করেছেন একজন ডিজিটাল উদ্ভাবন বিশেষজ্ঞ শ্রী শ্রীনিবাসন। স্টোকি ব্রুক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ জার্নালিজমের এই ভিজিটিং প্রফেসর বলছেন, ‘অনেকে হয়তো টুইটারের মতো এত গভীরভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করেনি, কিন্তু কর্ম পরিবেশ কীভাবে আরামদায়ক করে তোলা যায়, তা নিয়ে সিলিকন ভ্যালির এই কোম্পানির কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’

‘একটা ধারণা আছে যে, বাড়ি থেকে কাজ করার মানে হলে কাজে ফাঁকি দেয়া এবং অফিসে চেহারা দেখানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কর্মীরা এখন প্রমাণ করছেন যে, তারা বাড়ি থেকে ভালো কাজ করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। অনেকেই আমাকে বলেছেন, বাড়িতে তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে এবং ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।’ তিনি বলেন।

বিশ্বজুড়েই কোম্পানিগুলো এখন উপায় বের করার চেষ্টা করছে, কীভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আস্তে আস্তে অফিসগুলো পুনরায় চালু করা যায়। খবর: বিবিসি বাংলা।