২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:১৯

ব্লু-ইকোনোমিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে সামুদ্রিক শৈবাল

বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ  © টিডিসি ফটো

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র সীমায় সি উইড (সমুদ্র শৈবাল) চাষ খুবই সম্ভাবনাময় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় সমুদ্র এলাকার সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশ। যা ব্লু-ইকোনোমি (সমুদ্র অর্থনীতি) জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ফিশারিজ সোসাইটি অফ বাংলাদেশের প্রথম দ্বি-বার্ষিক দুইদিনব্যাপী বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, বিশাল এই সমুদ্রসীমাকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হলে লোনা পানিতে বিভিন্ন মাছের চাষ পদ্ধতি এবং পোনা উৎপাদন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। কিন্তু উন্নত পদ্ধতি উদ্ভাবনে আমাদের সক্ষমতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তবে এসব অঞ্চলে সি উইড চাষ একটি সম্ভাবনাময় খাত।

তিনি বলেন, আমরা সি-উইডের ১০টি বাণিজ্যিক প্রজাতির মধ্যে তিনটি সি-উইড চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি। যা লোনা পানিতে চাষ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

সম্মেলনে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টরের পথিকৃৎ মৎস্য শিক্ষার প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ড. এ. কে. এম আমিনুল হককে ফাদার অফ ফিসারিজ হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া বাকৃবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. সোমেন দেওয়ানকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এফএসবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাকৃবির এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, ময়মনসিংহের মৎস্য অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল মজিদ।

অনুষ্ঠান

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ও ফিসারিজ সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এফএসবি) এর যৌথ আয়োজনে বৈজ্ঞানিক এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আহসান বিন হাবিব। সম্মেলনে দেশি বিদেশি প্রায় ৩০০ জন বৈজ্ঞানিক অংশগ্রহণ করেন। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে ১৩০টি মৌখিক গবেষণা নিবন্ধ ও ৯৫টি পোস্টার উপস্থাপন করা হবে।