মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণ না হলে জাতি আবিষ্কারের সুফল পাবে না: মোস্তাফা জব্বার

অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আবিষ্কারের সুফল এ জাতি পাবে না যদি আমরা মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণ না করি। উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এটি একটি আবশ্যিক বিষয়। আই ল্যাবে সকল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। এটুআই-ইনোভেশন ল্যাবের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দেশীয় উদ্ভাবনসমূহ নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল রবিবার এটুআই-ইনোভেশন ল্যাবের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দেশীয় উদ্ভাবনসমূহ নিয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে আই ল্যাব অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি। এছাড়া প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এটুআই প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পিএএ এবং সঞ্চালনা করেন এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হওয়া উচিত হিউম্যান রিসোর্স প্ল্যানিং চিন্তাধারার। ইনোভেটিভ প্রজেক্টগুলোকে পাইলটিং করার উপর তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি বলেন, তরুণদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে সমস্যার সমাধান, উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা তৈরির মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত সুফল পেতে আমাদের উচিত শিল্প উদ্যোক্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের উদ্ভাবনের মধ্যে একটা সমন্বয় সাধন করা। আর এই সমন্বয় সাধনের সাথে সৃষ্টিশীলতা ও যৌথ বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ আগামী ২০ বছরের মধ্যে একটি উদ্ভাবনী জাতিতে পরিণত হবে।

এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পিএএ বলেন, আমাদের উদ্ভাবনী পণ্যের সাথে বাণিজ্যিক পণ্যের একটা যোগসূত্র তৈরি করতে হবে এবং এর জন্য সরকারের সবগুলো সুযোগকে এক সুঁতোয় বাধতে হবে।

প্রসঙ্গত, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, ইউএসএইড এবং ইউএনডিপিয়ের সহায়তায় পরিচালিত এটুআইয়ের ইনোভেশন ল্যাব (আই ল্যাব) গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশে তারুণ্য নির্ভর উদ্ভাবনী উদ্যোগের একটি সূতিকাগার হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটুআইয়ের আইডিয়া ব্যাংক বা সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড (এসআইএফ) এর মাধ্যমে বিগত তিন বছরে ১৪,০০০ এরও বেশি উদ্ভাবনী আবেদন পর্যালোচনা, ২,০০০ এরও বেশি আবেদন নিয়ে নিবিড় পর্যালোচনা ও ২১৭ টি উদ্যোগকে বাস্তবায়ন উপযোগী করতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ইনোভেশন ল্যাব একটি সমন্বিত মডেল নিয়ে কাজ করছে, এতে যুক্ত হয়েছে ১৩৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প উদ্যোক্তা, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও বাণিজ্যিক চিন্তাবিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেন্টর প্যানেল। ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট, পেটেণ্ট ও কপিরাইটয়ের কারণে ইনোভেশন ল্যাব একটি আলাদা রূপ লাভ করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ