১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৮

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল ও গুগলের অ্যাপ স্টোরে ফিরেছে টিকটক

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল ও গুগলের অ্যাপ স্টোরে ফিরেছে টিকটক
টিকটক  © সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা ৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করায় অ্যাপল ও গুগলের মার্কিন অ্যাপ স্টোরগুলোতে আবার ফিরেছে চীনা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।

১৭ কোটিরও বেশি আমেরিকান ব্যবহার করেন জনপ্রিয় এই অ্যাপটি। গত মাসে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় টিকটক।

আমেরিকানদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বা এর অ্যালগরিদমের মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে টিকটক ব্যবহার করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটি জানুয়ারিতে নিষিদ্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে এ নিষেধাজ্ঞা বিলম্বিত করার জন্য এক নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেতা খুঁজতে এপ্রিল পর্যন্ত সময় পাবে টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স।

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যানসকে দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প।

গুগলের প্লে স্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে আবার ফিরে আসার বিষয়ে নিয়ে বিবিসির মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি টিকটক। অ্যাপ স্টোরগুলোতে টিকটকের আবার ফিরে আসার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করে মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গ।

ব্লুমবার্গ লিখেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরে নিজেদের অ্যাপ স্টোরে টিকটককে আবার ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল ও গুগল, যেখানে ব্যবহারকারীদের টিকটক ডাউনলোডের অনুমতি দেওয়ার জন্য কোম্পানিগুলোকে দায়ী করা হবে না এবং অ্যাপটির ওপর নিষেধাজ্ঞা এখনও কার্যকর করা হবে না।

কংগ্রেসে পাস হওয়া টিকটকের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আইনে পরিণত করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। টিকটকের চীনা মালিক বাইটড্যান্সকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা এড়াতে প্ল্যাটফর্মটির মার্কিন সংস্করণটি কোনো নিরপেক্ষ পক্ষের কাছে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ আইনে।

বাইডেন প্রশাসনের যুক্তি ছিল, টিকটককে গুপ্তচরবৃত্তি ও রাজনৈতিক কারসাজির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে চীন।

তবে এসব অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে আসছে চীন ও টিকটক। এর আগে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম বিক্রির আহ্বান প্রত্যাখ্যানও করেছে বেইজিং।

ট্রাম্প নিজেও তার প্রথম মেয়াদে অ্যাপটি নিষিদ্ধের পক্ষে ছিলেন। তবে গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় টিকটক নিয়ে তার অবস্থান বদলে যায় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ট্রাম্প এও বলেছেন, ‘অ্যাপটির জন্য আমার হৃদয়ে উষ্ণ জায়গা রয়েছে।’

একদিন বন্ধের পর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি আবার চালু হলে নিজেদের লাখ লাখ ব্যবহারকারীর কাছে একটি পপআপ বার্তা পাঠায় প্লাটফর্মটি, যেখানে ধন্যবাদ জানানো হয় ট্রাম্পের নাম ধরে।

টিকটকের প্রধান নির্বাহী শো চিউ নভেম্বরে নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পের বাসভবন ‘মার এ লাগো’তে তার সঙ্গে দেখা করেন ও এরপর তার অভিষেক অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।