২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:০১

ডলার বাজারে ফের অস্থিরতা, দাম বেড়ে ১২৮ টাকা

  © সংগৃহীত

আগামী রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়‌ছে পণ্য আমদানি। অন্যদিকে আগের ব‌কেয়া এলসি বিল পরিশোধ বে‌ড়ে‌ছে। একইস‌ঙ্গে বি‌দে‌শে ভ্রমণও বে‌ড়ে গে‌ছে। ফ‌লে যে হা‌রে ডলা‌রের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে সেই হা‌রে যোগান তুলনামূলক কম।

এ কারণেই অতিরিক্ত চাহিদা পূরণের জন্য ব্যাংকগুলো ১২০ টাকা ঘোষিত দরের চেয়ে কমপক্ষে আট টাকা বেশি দিয়ে রেমিট্যান্স কিনছে। ডলারের এই সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দৃশ্যমান এক নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে খোলাবাজারেও।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বি‌ভিন্ন ব্যাংক ও রাজধানীর ম‌তি‌ঝিল দিলকুশা এলাকায় মা‌নি চেঞ্জার হাউজগু‌লো‌তে এমন তথ্য পাওয়া যায়। ব্যাংকাররাও বলছেন, আমদানির দায় পরিশোধে হঠাৎ চাপ বেড়েছে। তাই বাড়ছে ডলারের দাম। এমন অবস্থায় আবারও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।

জানা গে‌ছে, ব্যাংকগু‌লো ডলার সংক‌টে রেমিট্যান্স কিনেছে স‌র্বোচ্চ ১২৮ টাকায়। যেখা‌নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত দর ১২০ টাকা। আর কার্ব মা‌র্কেটে বা খোলাবাজা‌রে মা‌র্কিন ডলা‌রের দাম বে‌ড়ে ১২৯ টাকায় পৌঁছেছে। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১২৩ থে‌কে ১২৪ টাকা।

হঠাৎ ক‌রে ডলা‌রের চা‌হিদা বে‌ড়ে যাওয়ার কিছু অসাধু চক্র এর সু‌যোগ নি‌য়ে ডলা‌রের বাজারে অস্থিরতা তৈরি কর‌ছে। এমন অবস্থায় সন্দেহভাজন অন্তত ১৩টি ব্যাংকের কাছে ডলার বেচা-কেনার তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থি‌তিশীল কর‌তে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর ডলারের সর্বোচ্চ বেঁধে দেয়া রেট হলো ১২০ টাকা। যা গত জুনে ছিল ১১৮ টাকা এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১১০ টাকা। সেই হিসাবে ১ বছরে ডলারের ঘোষিত দর বেড়েছে ১০ টাকা। আর বাজারের বাস্তবতার সঙ্গে তুলনা করলে বেড়েছে ১৮ টাকা।