২২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:২৯

অ্যাপলকে হটিয়ে শীর্ষে এনভিডিয়া

চলতি সপ্তাহে বিশ্বের দামি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে এনভিডিয়া  © সংগৃহীত

এআই চিপ তৈরির শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার অগ্রযাত্রা যেন থামছেই না। প্রতি তিন মাস অন্তর নিজেদের নতুন উচ্চতায় তুলে আনছে জেনসেন হুয়াংয়ের প্রতিষ্ঠান। গত বুধবার প্রকাশিত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (কোয়ার্টারের) আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায় এনভিডিয়া রেকর্ড ৩৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার আয় কয়েছে। সংখ্যাটা চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ১৭ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯৪ শতাংশ বেশি।

চলতি সপ্তাহেই বিশ্বের দামি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে এনভিডিয়া। ফলে আইফোন নির্মাতা অ্যাপল নেমে গেছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। মাইক্রোসফট যথারীতি তৃতীয় স্থানে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছ। এ প্রতিবেদন লেখার সময় এনভিডিয়া, অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য যথাক্রমে ৩.৬০ ট্রিলিয়ন ডলার, ৩.৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার ও ৩.০৭ ট্রিলিয়ন ডলার। বর্তমানে এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের বাজারমূল্যই ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি।

এনভিডিয়ার সাম্প্রতিক এই সাফল্যের পেছনে মূল কারণ কী? উত্তর একটাই, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। বিশ্বজুড়ে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের গ্রাফ দুই বছর ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। সাম্প্রতিক সময়ে সেটা আরও ত্বরান্বিত হয়েছে কারণ এআইভিত্তিক টুলের চাহিদা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। 

স্বভাবিকভাবেই তাই এআই নিয়ে গবেষণাও বাড়ছে, ফলে উচ্চ সক্ষমতার সার্ভার সমৃদ্ধ ডেটা সেন্টারও তৈরি করছে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো। আর ঠিক এখানেই এআই ইকোসিস্টেমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বস্তুটির প্রয়োজন বটবৃক্ষের মতো সামনে এসে দাঁড়ায়- এআই চিপ বা সেমিকন্ডাক্টর।

আরও পড়ুন: সার্ভার হ্যাক করতে পারলেই ১০ লাখ ডলার দেবে অ্যাপল

গত প্রান্তিকে এনভিডিয়ার মোট আয়ের (৩৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার) ৮৫ শতাংশেরও বেশি এসেছে ডেটা সেন্টার সেগমেন্ট থেকে। ডেটা সেন্টার তৈরিতে প্রয়োজনীয় চিপের জোগান দিয়েই তাঁদের আয় হয়ছে ৩০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যেটা গত প্রান্তিকের তুলনায় ১৭ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১২ শতাংশ বেশি। 

এনভিডিয়ার পরবর্তী প্রজন্মের এআই কম্পিউটিং সক্ষমতার জিপিইউ (গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট) ব্ল্যাকওয়েলের জনপ্রিয়তাও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) কোলেট এম ক্রেস জানিয়েছেন, এনভিডিয়া বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ১৩,০০০ ব্ল্যাকওয়েল জিপিইউর নমুনা (স্যাম্পল) তাদের গ্রাহকদের পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত গ্রাফিকস টেকনোলজি কনফারেন্সে (জিটিসি) এনভডিডিয়া ব্ল্যাকওয়েল জিপিইউ প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মের জিপিইউগুলো ডেটা প্রসেসিং থেকে শুরু করে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তিতে এলএলএমভিত্তিক বিভিন্ন টুল তৈরিতে সক্ষম। 

চলতি বছর এখন পর্যন্ত এনভিডিয়ার শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯৫ শতাংশ। চতুর্থ প্রান্তিক নিয়েও এনভিডিয়া বেশ আশাব্যঞ্জক পূর্বাভাস দিয়েছে। বছরের শেষ তিন মাসে তাদের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেটা বাজার বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে যায়। 

সূত্র: ফরচুন