১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২২

এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫০ শতাংশ

তৈরি পোশাকশিল্পে কাজ করছেন শ্রমিকরা  © সংগৃহীত

গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড গার্মেন্টসের (ওটেক্সার) একটি প্রতিবেদনে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করে এমন ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম।

তবে ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত (১০ বছর) যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির ওই পরিসংখ্যান বলছে, চীন প্রথম অবস্থানে থাকলেও এক দশকে তাদের পোশাক শিল্পের রপ্তানি কমেছে প্রায় অর্ধেক। আর সে জায়গায় ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ অবস্থান তৈরি করেছে।

ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গত এক দশকে বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ৪ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২২ সালে এই রপ্তানি উন্নীত হয় ৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে। অবশ্য ২০২৩ সালে আকস্মিকভাবে এই ধারাবাহিকতার পতন ঘটে। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রায় এক-চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়ে রপ্তানি দাঁড়ায় ৭ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারে। যদিও এ সময় সামগ্রিকভাবেই কমে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক পণ্যের চাহিদা।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ, ব্যাংক ও মূল্যস্ফীতি—একশো দিনে কী করেছে অন্তর্বর্তী সরকার?

আর প্রথম অবস্থানে থাকা চীনের ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ছিল ২৯ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ২০২৩ সালে এই রপ্তানি হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারে, অর্থাৎ এক দশকের মধ্যে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৪৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।

আর দ্বিতীয় অবস্থা মনে থাকা ভিয়েতনামের  ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ছিল ৯ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ২০২৩ সালে এই রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে ৫২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। একই সঙ্গে ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোরও রপ্তানিও বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পোশাক রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে এই রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে। আর ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের পোশাক রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলারে।

আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলেই ধরা পড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার পোশাক রপ্তানি গত এক দশকে বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ২০১৪ সালে যেখানে দেশটির রপ্তানি ছিল ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২৩ সালে এই রপ্তানি উন্নীত হয় ৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারে।

বিপরীতে গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পাশাপাশি হ্রাস পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস ও ইন্দোনেশিয়ার পোশাক রপ্তানিও। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানি ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ, মেক্সিকোর ২৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, হন্ডুরাসের ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ।