৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩৪

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার ভবিষ্যৎ কী?

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা  © সংগৃহীত

টাকার অভাবে যেন কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন থেমে না যায় সেজন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’ চালু করা হয়েছিল ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ পলিসি। বর্তমানের দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এ পলিসির আওতাভুক্ত। তবে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এ বীমার নাম নিয়ে নতুন বিতর্ক সামনে এসেছে। এ বীমাটি কি চলবে না বন্ধ হয়ে যাবে তা নিয়েও শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ বা ইদ্রা) বলছে, এ বীমা পলিসি বন্ধ করে দেওয়ার কোন চিন্তা তাদের নেই। তবে, প্রস্তাবনা পাওয়া সাপেক্ষে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি ভাবা হতে পারে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ প্রবর্তন করা হয়। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১ মার্চ বীমা দিবসে এর উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক, কারিগরি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বীমার আওতাভুক্ত করতে ২০২১-২২ অর্থবছরে এ পলিসির পাইলটিং করা হয়।  পাইলটিংয়ের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বিমা পরিকল্পটির আওতায় বীমাভুক্ত হয়েছিল। আইডিআরএর হিসেবে, বর্তমানে দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এ বীমা পলিসির আওতায় আছে। 

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পলিসির ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা হয় আইডিআরএর মুখপাত্র ও পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বীমা পলিসিটির সুবিধা শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন। তাই এটি বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে কিছু পর্যায় থেকে আমরা এর নাম নিয়ে কিছু প্রশ্ন পাচ্ছি। যদিও তারা নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করেন তবে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে। এর বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই। 

আইডিআরএর কর্মকর্তাদের মতে, পরিবর্তন করে এ পলিসিটির নাম শিক্ষা বীমা হতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হচ্ছে না। তবে পলিসিটি বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করলে তা বিবেচনা করার প্রস্তুতি কর্তৃপক্ষের আছে। 

আইডিআরএর কর্মকর্তারা বলছেন,  বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বছরে ৮৫ টাকার প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বীমাভুক্ত করা হয়েছে। অভিভাবকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বা নির্দিষ্ট কিছু দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মাসিক ৫০০ টাকা হারে শিক্ষার্থীদের ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষা বীমা সুবিধা দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা চাইলে একাধিক পলিসি কেনার সুযোগও আছে।